সংক্ষিপ্ত
সোমবারের বর্ণাঢ্য সেই সন্ধ্য়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। তুলসি গৌড়া মাটির কাছাকাছি থাকার ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
কবির কথায় 'তাহার তুলনা তিনি নিজেই'-- রাষ্ট্রপতি ভবনের ঐতিহ্যবাহী দরবার হলে অনেকটা এমনই উদাহরণ রেখেগেলেন ৭৭ বছরের 'তরুণী' তুলসি গৌড়া (Tulsi Gowda)। ২০২০ সালে যে ১১৯ জন পদ্মশ্রী (Padma Sri) সম্মান পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম তুলসি গৌড়া। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে দেশের অন্যতম সম্মান নেওয়ার সময়ও নিজেরে এতটুকু বদালননি এই অন্যন্যা। খালিপায়ে, আদুর গায়েই আদিবাসী পোষাকেই তিনি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পদ্মশ্রী সম্মান নেয়।
সোমবারের বর্ণাঢ্য সেই সন্ধ্য়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। তুলসি গৌড়া মাটির কাছাকাছি থাকার ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেও তুলসি গৌড়ার সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতার ছবি পোস্ট করেছেন। অনেকেই আবার পদ্ম-সম্মান অনুষ্ঠানে তুলসি গৌড়ার ছবি পোস্ট করে বলেছেন এটি দিনের সেরা ছবি। সেই তালিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্র শেখরও। পরিবেশবিদ তুলসি পুরস্কার মঞ্চ থেকেই দেশের নেটিজেনদের মন কেড়ে নিয়েছেন।
Aryan Khan Case: ফড়ণবীসের বিরুদ্ধে নবাব মালিকের 'হাইড্রোজেন বোমা' দাউদ ঘনিষ্ট রিয়াজ ভাটি
China: ভারতের ডাকা নিরাপত্তা বৈঠক এড়িয়ে পাকিস্তানের পাশে চিন, যোগ দেবে ট্রোইকা বৈঠকে
৬ দশকেরও বেশি সময় ধরে কর্নাটকের হোনালি গ্রামে পরিবেশে আন্দোলনে সামিল তুলসি। পরিবেশ রক্ষার জন্য একাই যুদ্ধে নেমেছেন তিনি। ৩০ হাজারেও বেশি চারা রোপন করেছেন। বনবিভাগের নার্সারিও দেখাশোনা করেন তিনি। স্থানীয়দের কাছে তুলসির আরও একটি পরিচয় রয়েছে। ৭৭ বছরের এই মহিলা গাছপালা আর ভেষজ সম্পর্কে অন্তহীন জ্ঞানের অধিকারি। তাই তাঁকে স্থানীয়রা বিশ্বকোষ বলেও পরিচয় করিয়ে দেন। পরিবেশবিদ হিসেবে ভারতের বাইরে বিদেশেও পরিচিতি রয়েছে তুলসির। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অফিস থেকে টুইট করে জানান হয়েছে সামাজিক অবদানের জন্য তুলসিকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করা হয়েছে।
পরিবেশের জন্য চুপচাপ লড়াই করা তুলসির জবীনও কিন্তু যুদ্ধময়। মাত্র ২ বছর বয়সেই বাবাকে হারিয়েছিলেন তুলসি। তারপর পেটের টানে মায়ের সঙ্গেই কাজে যান তিনি। স্থানীয় একটি নার্সারিতে কাজ শুরু করেন। সেখানেই গাছগাছারির সঙ্গে তাঁর পরিচয়। কোনই দিনই স্কুলে যাননি তুলসি। কৈশোরেই সাতপাকে বাঁধা প়ড়েছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপরিচালিত একটি নার্সারি ৩০ বছর কাজ করেছিলেন তুলসি। তারপর চাকরি পাকা হয়েছিল তাঁর। ৭০ বছরে তিনি অবসর নেন। কিন্তু তারপরেই পরিবেশের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।