সংক্ষিপ্ত

কোভিড সংক্রমণের জেরে হরিয়ানায় নাইট কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। এই নাইট কার্ফু রাত ১১টা থেকে ভোর ৫ টা অবধি চলবে।  

কোভিড সংক্রমণের জেরে হরিয়ানায় নাইট কার্ফু (Night Curfew গল Haryana )ঘোষণা করা হয়েছে। এই নাইট কার্ফু রাত ১১টা থেকে ভোর ৫ টা অবধি চলবে। পাশাপাশি চণ্ডিগড় (Chandigarh ) প্রশাসনও নির্দেশিকা জারি করেছে। হরিয়ানা সরকার (Haryana Govt ) কোভিডের নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট ওমিক্রন রুখতেই মূলত নাইট কার্ফুর নির্দেশ দিয়েছে।

হরিয়ানার মুখ্য়মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেছেন যে, পাবলিক প্লেসে ২০০ জনের বেশি জমায়েত , অন্যান্য অনুষ্ঠান এবং রাত ১১টা থেকে ভোর ৫ টা অবধি যাতায়াত করা চলবে না। তিনি আরও বলেছেন, রাজ্যে ওমিক্রনের সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনার জেরে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য, ১ জানুয়ারি ২০২২ সাল থেকে সরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রবেশের জন্য কোভিড ভ্যাকসিনেশনের দুটি ডোজই বাধ্যতামূলক করা উচিত। চণ্ডীগড় প্রশাসন নির্দেশিকা জারি করেছে যে, ১ জানুয়ারি থেকে চণ্ডীগড়ে কোভিড ভ্যাকসিন না নিলে হোটেল, শপিংমল, বাজার, ব্যাঙ্ক, জিম, সিনেমাহল, কোথাও প্রবেশ করা যাবে না। এই সকল জায়গায়, শুধুমাত্র কোভিডের দুটি ডোজ যারা নিয়েছেন, তাদেরকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত। ১৮ বছর বয়সী থেকে উর্ধ্বে যারা কোভিড ভ্যাকসিন ছাড়া ধরা পড়বেন, তাঁদের ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। জরিমানা না দিলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। উল্লেখ্য, এরআগে মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ রাজ্যজুড়ে নাইট কার্ফু চালু করা হয়।

কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক সব রাজ্যেরই সরকার। তাই হরিয়ানার পাশাপাশি কোভিড বিধিতে আরও কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে ওড়িশা সরকার।বর্ষবরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠান করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হোটেল, ক্লাব, রেস্তোরা, পার্কগুলিতে  বর্ষবরণ উপলক্ষে কোনওরকম উদযাপন করা যাবে না। গুজরাটের আহমেদাবাদ, ভাবনগর, ভদোদরা, সুরাট,রাজকোট, জামনগর, গান্ধীনগর এবং জুানাগড় শহরে ২৫ ডিসেম্বর থেকে রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকবে। একই পথে নির্দেশিকা জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকারও। তবে শুধু ব্যাতিক্রমী পশ্চিমবঙ্গ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে নাইট কার্ফু নিয়ে কড়াকড়ি ছিল পশ্চিমবঙ্গে। কোভিডের সংক্রমণ মাত্রা ছাড়ালে সন্ধ্য়া পেরোতেই শুরু হত কার্ফু। রাস্তায় রীতিমত মোড়ে মোড়ে পুলিশ থাকত। বাইরে বেরোলেই উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে কড়া শাস্তি ভাগ্য়ে জুটত। তবে তখন ওমিক্রনের কোনও ইস্যু ছিল না। যা ছিল, তাতেই কুপোকাত হয়েছিল কলকাতা। এদিকে  ক্রিসমাসে দেশের সব রাজ্য সমানভাবে মেতে উঠতে পারেনি শুধুমাত্র কোভিড বিধি নিয়ে কড়া কড়ির জন্য। তবে ওমিক্রন ধরা পড়ার পরেও বাংলায় সেই ছবিটাই একেবারেই উল্টো। ক্রিসমাসে অনেকটাই শিথিল কোভিডবিধি বঙ্গে।