সংক্ষিপ্ত

লালু প্রসাদ বলেছেন, 'নীতিশ কুমারের জন্য আমাদের দরজা খোলা রয়েছে। তাঁরও উচিৎ নিজের দরজা খুলে দেওয়া হয়। তাহলে দুই প্রান্তের লোক যাতায়াত করতে পারেন।'

 

আবারও ইন্ডিয়া জোটে ফিরতে পারেন নীতিশ কুমার! তেমনই জল্পনা শুরু হয়েছে লালু প্রসাদ যাদবের মন্তব্যে। ইন্ডিয়া জোটের উদ্যোগী ছিলেন তিনি। কিন্তু জোট দানা বাঁধার আগেই তিনি ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে আবার বিজেপির জোটে নাম লেখান। কিন্তু বছর শুরুতেই আবারও নীতিশ কুমার ডিগবাজি খেতে পারেন বলে জল্পনা তুঙ্গে বিহারের রাজনীতিতে। সম্প্রতি লালু প্রসাদ যাদব বলেছেন, নীতিশ কুমারের জন্য সর্বদই জোটের দরজা খোলা। লালুর এই মন্তব্যের এখনও কোনও উত্তর দেননি নীতিশ কুমার। কিন্তু তারপরেও তাঁর জোট বদল নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।

লালু প্রসাদ বলেছেন, 'নীতিশ কুমারের জন্য আমাদের দরজা খোলা রয়েছে। তাঁরও উচিৎ নিজের দরজা খুলে দেওয়া হয়। তাহলে দুই প্রান্তের লোক যাতায়াত করতে পারেন।' সাংবাদিকরা লালুর এই মন্তব্য সম্পর্কে নীতিশ কুমারের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তারই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নীতিশ কুমার হাত জড়ো করেন। তারপর হাসলেন। তারপরই তিনি বলেন, 'আপনি কী বলছেন?' আর কোনও কথা বলেননি নীতিশ কুমার। তাতেই জল্পনা তুঙ্গে। সরকারের মেয়াদ শেষ হবে কিনা তা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি হাত গুটিয়ে এগিয়ে যান। কোনও উত্তর দেননি।

যদিও বুধবার আরজিডির শীর্ষ নেতারা এই ইস্যুতে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি তেজসী যাদব বলেছেন, 'নীতীশ কুমার এখন ক্লান্ত এবং যেমন একটি ক্ষেতের উর্বর থাকার জন্য নতুন বীজের প্রয়োজন, তেমনি বিহারের নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন।' এর আগে, আরজেডি মুখপাত্র ভাই বীরেন্দ্রও একটি বিবৃতি জারি করেছিলেন যে নীতীশকে আবার মহাগঠবন্ধনে স্বাগত জানানো হবে। যদিও নীতিশের দল জেডি(ইউ)-র পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। একাধিকবার দল বদল করেছেন নীতিশ কুমার। কখনও নীতিশের হাত ধরে সরকার গঠন করেছেন বিহারে। কখনও আবার বিজেপির হাত ধরেছেন। তিনি নিজেই বিজেপির বিরোধিতা করার জন্য ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছিলেন। মমতা, রাহুল গান্ধী এমনকি অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও তিনি দেখা করেছিলেন। জোটের প্রথম দিকের বৈঠকেও ছিলেন। কিন্তু ভোটের আগেই বিজেপির হাত ধরেন। বিহার সরকারও তিনি বিজেপির হাতে হাত ধরে চালান।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।