সংক্ষিপ্ত
রাজস্থান আদালতের রায়ে স্বস্তিতে পাইলট শিবির
স্পিকার ১৯ বিধাকয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না
সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা কংগ্রেসের
বিজেপি প্রসঙ্গে শচীনের পাশে দাঁড়ালেন মুকুল
রাজস্থান আদালতের রায়ে স্বাস্তির অবশেষে নিঃশ্বাস ফেললেন বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট ও তাঁর ১৮ অনুগামী। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মামলার রায় ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রকে পার্টি করার আবেদন জানায় শচীন শিবির। তারপরই পিছিয়ে যায় রায়দান পর্ব। কিন্তু শুক্রবারই রাজস্থান আদালত শচীন পাইলট শিবির বনাম স্পিকার মামলায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে। তাতে বলা হয়েছে
স্পিকার সিপি জোশী আপাতত রাজস্থান বিধানসভায় ১৯ বিধায়কের বিরুদ্ধে অযোগ্যতার আবেদনের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
রাজস্থান হাইকোর্টের আদেশের ওপর যদি সুপ্রিম কোর্ট যদি স্থগিতাদেশ দেয় তবেই স্পিকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন।
হাইকোর্ট পাইলট শিবিরের যুক্তির সঙ্গে দশম তফশিলের ২(১) ধারা খতিয়ে দেখবে।
১৪ জুলাই স্পিকারের পাঠানোর নোটিশের বৈধতা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্যদিকে শচীন পাইলট পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহাতগির কথায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ মত পোষণ করা কখনই বিধায়ক হিসেবে অযোগ্যতার নিদর্শন হতে পারে না।তিনি আরও বলেছেন শচীন পাইলট বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন এমন কোনও তথ্য বিরোধী পক্ষের হাতে নেই। তিনি শুধু মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ মত পোষণ করেছেন। এই অধিকার সকলের রয়েছে। একজন বিধায়ক যদি দলের সদস্যপদ ছেড়েদেন তবে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারেন স্পিকার । শচীনের আইনজীবী আরও বলেছেন শচীন পাইলট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। দল থেকে নয়। তিনি আরও বলেছেন বিধানসভার বাইরে দলের সভায় অংশ না নেওয়ার কারণে কোনও বিধায়ককে
অযোগ্য ঘোষণা করা যায় না।
পাইলট ইস্যুতে এবার রাজ্যপালের সঙ্গে বিবাদে গেহলট, বললেন ওপর মহলের চাপ রয়েছে .
পাশাপাশি মুকুল রোহাতগিও শচীন পাইলটের বিজেপিতে যোগ প্রসঙ্গে এদিন মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। তাই এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগ খণ্ডন করে বিখ্যাত আইনজীবী বলেন গত ২০ বছর বহু রাজনীতিবিদের হয়েই সওয়াল করেছেন তিনি। কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারের হয়ে চার দিন আগেই সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে রাজস্থান হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে কংগ্রেস।