সংক্ষিপ্ত
২৩ মে থেকে বদল করা যাবে ২ হাজার টাকার নোট। নোট বদলে কোনও আইডি প্রুফ বা পরিচয় পত্র লাগবে না।
২ হাজার টাকার নোটবন্দির কথা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে শুক্রবার রাতে। কিন্তু কিভাবে আপনার কাছে থাকা ২ হাজার টাকার নোট বিনিময় করবেন বা জমা দেবেন আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে? তাই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কারণ ২০১৬ সালে নোটবন্দির ভয়ঙ্ক স্মৃতি এখনও এই দেশের মানুষের মনে টাটকা। যাইহোক আপনার কাছে ছাকা ২০ হাজার টাকার ২ হাজার টাকার নোট বাতিলে কোনও সমস্যা নেই। সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২০ হাজার টাকার পর্যন্ত ২ হাজার টাকার নোট বিনিময়ে কোনও ফর্ম বা রিকুইজিশন স্লেপের প্রয়োজন নেই। একলপ্তে এই টাকা ব্য়াঙ্কে জমা করা যাবে বা বদল করা যাবে।
এসবিআই জানিয়েছে, ২ হাজার টাকার নোট বিনিয়মের সুবিধে, এক সঙ্গে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নোট বিনিয়মের জন্য কোনও কিছুই লাগবে না। স্লিপে নিজের অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা করা যাবে। ২০ মে এসবিআই জানিয়েছে, নোট বিনিময়ের সময় কোনও দরপত্র বা পরিচয়পত্র প্রমান হিসেবে দাখিল করতে হবে না গ্রাহককে। টাকা বদলের জন্য ব্যাঙ্ক গ্রহককে সবরকম সহযোগিতা করতে পারবে। সূত্রের খবর ২০০০ টাকার নোট বদলের সময় যে কোনও সময়ই লাইনে দাঁড়ানো যেতে পারে। নোট বদলের এই প্রক্রিয়া যাতে মসৃণভাবে হয় তা দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
নোট বিনিয়মের এই সুবিধে ২৩ মে থেকে পাওয়া যাবে। যদিও শুক্রবার ২ হাজার টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণার পরেই অনেক গ্রাহক শনিবারই টাকা বদলের জন্য ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তারিখ সম্পর্কে নতুন করে সার্কুলার দিয়েছে। অন্যদিকে অনেকেই নিজের কাছা গচ্ছিত ২০০০ টাকার নোট দিয়ে গয়না বা সোনা কেনার চেষ্টা করেছে। সোনার দোকানে ভিড় বাড়ছে। কিন্তু স্বর্ণকার বা সোনার দোকানগুলিও ২০০০ টাকার নোট নিতে দ্বিধা করছে। দেশের অমেক অংশে নির্ধারিত নগদ ক্রয়ের বাইরে KYC চাইতে দ্বিধা বোধ করছেন।
কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) এর মতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা ২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাহার করা ছোট ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যকে প্রভাবিত করবে না তবে অবশ্যই বড় এবং ধনী শ্রেণীকে আঘাত করবে যারা বড় আকারে ২ হাজার টাকার নোট মজুদ করে থাকতে পারে। CAIT এই পদক্ষেপের কারণে বাণিজ্য কার্যকলাপে কোনও বিঘ্ন ঘটবে বলে আশা করে না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গর্ভনর আর গান্ধী শুক্রবার বলেছেন, তিনি মনে করেন ২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাকার করার মধ্যে দিয়ে সরকার চাইছে কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ করতে। তিনি আরও বলেছেন তিনি মনে করেন ২ হাজার টাকার নোটের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে কালো টাকা মজুত করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময় তিনি মুদ্রা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। নোটবন্দি বা নোটবাতিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। আর গান্ধী এদিন পিটিআইকে বলেছেন, ২ হাজার টাকার নোট বাতিলের জন্য অর্থ প্রদানের ওপর কোনও পদ্ধতিগত প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ নোটগুলি অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয় না। বর্তমানে বড় অঙ্কের লেনদেনের অধিকাংশই ডিজিটাল পদ্ধতিতে হয়। তিনি মনে করেন ভারতীয় অর্থনীতিতে কালো টাকার প্রভাব কমাতেই ২ হাজার টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, নোটবন্দির উদ্দেশ্যও ছিল অর্থনীতিকে কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পুরনো নোট প্রতিস্থাপনের জন্য। একই মূল্যের নতুন নোটের সিরিজ চালু করে।
আরও পড়ুনঃ
কর্ণাটকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মধ্যমণি রাহুল গান্ধী, স্পষ্ট হচ্ছে বিজেপি বিরোধী জোট- দেখুন ছবিতে
রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের ছবি প্রকাশ্যে এল, মকর সংক্রান্তিতেই মন্দিরের দরজা খুলবে ভক্তদের জন্য