সংক্ষিপ্ত
দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে কয়েকটি নদীর জন। অধিকাংশ মানুষই গৃহবন্ধি। সবথেকে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশের।
সোমবার উত্তর ভারতের বেশ কিছু অংশ তেমন ভারী বৃষ্টি হয়নি। তবে টানা তিন দিন প্রবল বৃষ্টির ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দিল্লি, হিমাচলপ্রদেশ -সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। অধিকাংশ এলাকাই বানভাসী। তবে কোথাও কোথাও কোমর জল হাঁটুতে নেমে এসেছে। তিন দিনে টানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে সবথেকে বিপর্যস্ত অবস্থা হিমালচল প্রদেশের। তবে এখনই বিপদ কাটছে না হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। আবহাওয়া দফতর আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই রাজ্যগুলিতে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে কয়েকটি নদীর জন। অধিকাংশ মানুষই গৃহবন্ধি। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মানুষরা নিজের চরম দুর্দশার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি অথবা ভিডিওর সাহায্যে শেয়ার করছেন।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু রাজ্যের জনগণতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি থেকে না বার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ভূমিধস হড়পা বান আর প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত এই রাজ্য। প্রায় স্তব্ধ স্বাভাবিক জনজীবন। মানালি, কুলু, কিন্নর, চাম্বা প্রবল ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিয়াস, রাভি, সাতলুজ, সোয়ান, চেনাব একাধির নদীর এখনও প্রবল গতিতে বইছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই রাজ্যে আবারও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় এই রাজ্যের ২০ জনের মৃত্য়ু হয়েছে বলে রাজ্যের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন। রাজ্যের ১৩০০টি সড়ক যানচলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। একই অবস্থা প্রতিবেশী উত্তরাখণ্ডের। সেখানেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভূমিধস আর হড়পা বানে বিপর্যস্ত গোটা এলাকা। একাধিক নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে।
প্রবল বৃষ্টির কারণে দিল্লি ও গুরগ্রামের একাধিক স্কুল বন্ধ। দিল্লিতে এখনও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যমুনা নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। হরিয়ানাতে হস্তনিকুণ্ড ব্যরেজ থেকে যমুনা নদীকে ১ লক্ষ কিউসেক জল ছড়ার পরই দিল্লি সরকার বন্য প্রবণ এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি করেছে। দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা করেন। জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া ও সাম্বা জেলার রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানার প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে নিচু এলাকা আবারও জলমগ্ন হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
তাইওয়ানের ফক্সকন বেদান্তের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার চুক্তি ভাঙল, বড় ধাক্কা ভারতের ইলেক্ট্রনিক্স শিল্পে
Viral Video: মেয়ে কোলে খাবার দিচ্ছে জোমাটো এজেন্ট, ভিডিও দেখে নেটিজেনরা বলল সেলাম করল বাবাকে
কুকুরের কামড়ে অতিষ্ট হয়ে স্কুল বন্ধ করল প্রশাসন, থমকে গেছে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজও