সংক্ষিপ্ত

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রবল গরম পড়তে শুরু করেছে। উত্তর-পশ্চিম, মধ্য ও পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা এতটাই বাড়বে যে ক্ষতি হবে চাষের। এখন থেকেই সতর্ক করল হাওয়া অফিস।

 

ফেব্রুয়ারি মাস এখনও শেষ হয়নি। বসন্ত এখনও জাগ্রত থাকারই কথা। কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সব কিছুরই উলটপুরাণ। মঙ্গলবার দেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়ে দিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম, মধ্য ও পশ্চিম ভারতে আগামী পাঁচ দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি থাকবে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তাই চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে রেকর্ড করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছে হাওয়া অফিস।

সোমবারই মৌসম ভবন জানিয়েছিল এই সময় স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপমাত্রার কারণে গম ও অন্যান্য ফসলের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। আইএমডির এক সিনিয়ার আধিকারিক জানিয়েছেন, পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করে পশ্চিমী ঝঞ্জা কমে যাওয়ার পরে উত্তর-পশ্চিম ভারতের তাপমাত্রা আগামী দুই দিনের মধ্যে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে।

কিন্তু বসন্তেও গরমের অনুভূতি শুরু হয়ে গেছে। তার থেকে আপাতত রেহাই নেই। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অননুযায়ী আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে এই অঞ্চলের পাশাপাশি মধ্য ও পশ্চিম ভারতের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি থাকতে পারে। সোমবার উত্তর-পশ্চিম, মধ্য ও পশ্চিম ভারতের বেশিরভাগ জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার দক্ষিণ দিল্লির তাপমাত্রাও রেকর্ড উর্ধ্বগামী। ১৯৬৯ সালের পর এই প্রথম দিল্লিতে ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা ৩৩. ৬ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। দিল্লিতে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি বললেও ভুল হবে না। ২০০৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৪.১ ডিগ্রি, ১৯৯৩ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৯ ডিগ্রি।

হাওয়া অফিসের আধিকারিক কুলদীপ শ্রীবাস্তব বলেছেন দিল্লি ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের অন্যান্য অংশে প্রাথমিক তাপপ্রবাহের কারণই ছিল শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্জার অভাব। ২৯ জানুয়ারির পর থেকে এই এলাকায় কোনও পশ্চিমী ঝঞ্জা ছিল না। তার তাপমাত্রা চড়চড়িয়ে বেড়ে গেছে। তবে ছোট ছোট কয়েকটি পশ্চিমী ঝঞ্জা তৈরি হয়েছে। দুর্বল পশ্চিমী ঝঞ্জার কারণে পাহাড়েও স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভার মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই উত্তর ও পশ্চিম ভারতে তাপমাচ্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে বা তার থেকে বেশি হবে। কচ্ছ ও কোঙ্কন উপত্যকায় তাপমাত্রার পারদ আরও চড়বে। সেই কারণে প্রথম থেকেই এই দুই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে।

আইএমডি বলেছেন তাপমাত্রার বৃদ্ধি আর তাপপ্রাবাহের কারণে ফুল ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। গম চাষে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। কৃষকদের প্রবল গরমের সময় মাটির আর্দ্রতা রক্ষা করা ও ফলকে বাঁচানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি বছর প্রবল গরম পড়বে বলেও সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস।

হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, উত্তর ভারতে সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্জা, দক্ষিণভারতে বড় কোনও নিম্নচাপের অনুপস্থিতিকেই কম বৃষ্টিপাতের জন্য দায়ী করেছে। গোটা দেশে এই বছছর মাত্র ৮.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা দীর্ঘ সময়ের ৩০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টির থেকে প্রায় ৭১ শতাংস কম।

আরও পড়ুনঃ

Operation Dost: 'মানব সেবা ভারতের অগ্রাধিকার', তুরস্ক-সিরিয়া থেকে ফেরা NDRF দলের প্রশংসা মোদীর

লাহোরে বসে ২৬/১১ হামলা নিয়ে বোমা ফাটালেন জাভেদ আখতার, কবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ কঙ্গনা

স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে গৃহবধূ ফেলে এল ভিন রাজ্যে, সহযোগী দুই 'প্রেমিক'