সংক্ষিপ্ত

  • করোনিলের কামাল দেখল পতঞ্জলি 
  • মাত্র চার মাসেই বিক্রি ২৪১ কোটি টাকার 
  • করোনা প্রতিরোধ করে না বলেও জানান হয়েছিল
  • করোনিলেন সাফল্যে খুশির হাওয়ার সংস্থায় 

যাদু দেখিয়েছে রামদেবের করোনিল। মহামারির এই দুঃসময় যখন অন্যান্য ব্যবসা ধুঁকছে তখন মাত্র চার মাসেই এই ওষুধটির জন্য পতঞ্জলির আয় হয়েছে আনুমানিক ২৪১ কোটি টাকা। ৮৫ লক্ষেরও বেশি ইউনিট বিক্রি করে রেকর্ড করেছে করোনিল কিট। দিনে ৫০-৭০ হাজার করোনিলের কিট বিক্রি হয় বলেও দাবি করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। এত সাফল্যের পরেও থেমে থাকতে নারাজ রামদেবের সংস্থা। কারণ সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে করোনা মোকাবিকায় তাদের তৈরি ওষুধ কতটা কার্যকর তার সমস্থ নথি খুব তাড়াতাড়ি আয়ুষ মন্ত্রকে পাঠান হবে।  

২৩ জুন রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি করোনিল কিট প্রথম বাজারে এনে ছিল। সেই সময় দাবি করা হয়েছিল এই ওষুধটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সক্ষম। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তা প্রমাণিত হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। তখনই বাধ্য হয়ে পিছু হাঁটতে হয় বাবা রামদেবকে। তারপরই করোনা সংক্রমণ সেরে যায় এমন দাবি বন্ধ করতে বলা হয় সংস্থাটিকে। পরিবর্তে সংস্থাটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এমন বিজ্ঞাপণ করতে পারে বলে জানান হয়েছিল। তার তাই দিয়ে বাজিমাৎ করেছে করোনিল। করোনিল আর শ্বসারি বটি নামের দুটি ওষুধ একত্রে একটি কিটের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। প্রতিটি কিটের দাম ধার্য করা হয়েছিল ৫৪৫ টাকা। ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত পতঞ্জলির দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ২৩ লক্ষ ৫৪ হাজার করোনিল কিট বিক্রি হয়েছে বলে জানান হয়েছে। এছাড়াও আলাদাভাবে ৬২ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রীরাও ৬-৭ ভাইবোন , নীতিশের খোঁচার উত্তরে সরব লালু পুত্র তেজস্বী যাদব

গ্যালওয়ান সংঘর্ষের প্রসঙ্গ তুলে ভারতের পাশে থাকার বার্তা, চিনা হুমকি মোকাবিলায় হুংকার পম্পেও-র .

করোনিলের এই সাফল্যে খুশি পতঞ্জলির সিইও বালকৃষ্ণ। তিনি বলেন করোনিল যে সফল তার বিক্রি থেকেই বোঝা যাচ্ছে। করোনালিন নিয়ে শুরুতে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও মানুষ তাঁদের তৈরি সামগ্রীর ওপর বিশ্বাস রেখেছেন বলেই দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন পতঞ্জলির তৈরি ঘি, টুথপেস্ট, অ্যালোভেরাসহ একাধিক সামগ্রী রয়েছে যা অত্যান্ত জনপ্রিয়।  তিনি আরও জানিয়েছেন বর্তমানে প্রত্যেক দিন  ৫০-৭০ হাজার করোনিল কিট বিক্রি হয়। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় করোনিল কতটা সক্ষম খুব তাড়াতাড়ি সেই সংক্রান্ত নথি তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ মন্ত্রকের জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন। কারণ আয়ুষ মন্ত্রকই প্রথম থেকে বাধা দিয়েছিল করোনা সারাতে করোনিল ১০০ শতাংশ সক্ষম এজাতীয় বিজ্ঞাপণ ব্যবহার করতে। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণা ও ওষুধ আবিষ্কারের জন্য আয়ুষ মন্ত্রকের অনুমোদন নেওয়া জরুরি। কিন্তু রামদেব সেইসব নিয়মনীতি এড়িয়ে গিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল।