সংক্ষিপ্ত
- লাদাখে 'গেম চেঞ্জার'প্যাংগং-এর উচ্চ এলাকা দখল
- সূত্রের খবর পরিকল্পনা ছিল অজিত ডোভালের
- সেনা বাহিনীর বৈঠকেই পরিকল্পনা দিয়েছিলেন তিনি
- অজিত ডোভালের ভূমিকার কথা মেনে নিয়েছেন সেনা প্রধান
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই পূর্ব লাদাখ সেক্টর সংলগ্ন এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছিল চিন। কিন্তু কেন? সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে তার মূল কারণ হল প্যাংগং তসো সংলগ্ন এলাকায় অতিউচ্চ স্থান ছিল ভারতের দখলে। প্যাংগং লেক সংলগ্ন এলাকায় অতি উচ্চ এলাকাই দখলই গেম চেঞ্জার হয়ে দাঁড়ায়। আর এই পদক্ষেপে বিস্তীর্ণ এলাকা ভারত কৌশলগতভাবে এগিয়ে যায়। সূত্রের খবর ভারতীয় সেনা বাহিনীরকে গেম চেঞ্জারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে সাহায্য করেছিল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের মূল্যবান পরামর্শ।
এএনআই সূত্রে খবর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান ও চিফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। সূত্রের খবর সেই বৈঠকেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল রেজাংলা, রেচিংলা, হেলমেট, আকিলা সহ দক্ষিণাঞ্চলের উচ্চ এলাকাগুলি দখলের পরামর্শ দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ছিল প্যাংগং তসো এলাকাও। আর ভারত প্যাংগংসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ এলাকা দখল করার পরই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছিল চিনা সেনা। তারেই চিনা সেনা সমস্যা সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছিল। মূলত প্যাংগং লেক এলাকায় উচ্চ স্থান দখল করায় বেশ কিছুটা চাপে পড়েছিল চিনা সেনা। তেমনয়ই জানিয়েছে সূত্র।
লাদাখ সেক্টরে অস্থিরতার সময় তথ্য পাচারের অভিযোগ, ভারতীয় সেনা বাহিনীতেও কি পাক গুপ্তচর ...
সূত্রের খবর সেই বৈঠকে বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়া উত্তর সীমান্তবর্তী এলাকায় যে সব জায়গায় চিনা সেনা অবস্থান করেছিল ও অগ্রাসী ভূমিকা করেছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছিলেন। আর সেই বৈঠকেই স্পষ্ট হয়ে যায় চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য উচ্চতর স্থানগুলি দখল করা জরুরি ভারতীয় বাহিনীর কাছে। সূত্রের খবর সেই বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল কী ভাবে সেই স্থানগুলি দখল করা হবে।
বুধবার একটি ওয়েবনারে ভাষণ দেওয়ার সময় ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রধান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারত চিনের স্ট্যান্ডঅফ পরিচালনার ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পূর্ব লাদাখ সেক্টরের সমস্যা নিয়ে তাঁরা সেই সময় বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছিলেন। আর সেই বৈঠকেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দেওয়া পরামর্শ অত্যান্ত কাজে এসেছিল। কৌশলগত বিষয়ে তাঁর দূরদৃষ্টি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সাহায্য করেছিল। তিনি আরও বলেছিলেন ভারতীয় বাহিনী এখনও পর্যন্ত যা অর্জন করেছে তা তাদের একটা ভালো স্থানে দাঁড় করিয়েছে। তবে এটাই প্রথম নয়, অতীতেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও তাঁর দল পাঠানকোট বিমানবন্দর ও জোকলাম সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।