সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রী বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি রাজ্য সরকারের দায়িত্ব হল সেই পদকে সম্মান জানিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সফরের সময় যে নিরাপত্তার ঘাটতি (Security breach) দেখা গেল, তার সমালোচনা করলেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Odisha CM Naveen Patnaik)। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি রাজ্য সরকারের দায়িত্ব হল সেই পদকে সম্মান জানিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। সেই সঙ্গে এই পদের ও এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষা করা। এর বিপরীত কোনও আচরণ দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর কাছে অগ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, পঞ্জাব সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। চান্নি সরকারের অপরিণামদর্শিতা ও পরিকল্পনার অভাবের জন্যই প্রধানমন্ত্রী নিজের সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। এই ভাষাতেই পঞ্জাব সরকারকে বিঁধেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা পর্যন্ত প্রত্যেকে সরব হয়েছেন মোদীর পঞ্জাব সফরে ঘিরে বিশৃঙ্খলায়।
স্মৃতি ইরানি টুইট করে লিখেছেন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় এটি একক বৃহত্তম ত্রুটি। আর পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার ঠিক সেই কাজটাই করে দেখিয়ে দিল। ভারতের ইতিহাসে এরকম ঘটনা আর ঘটেনি। কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী মোদী পছন্দ করেনা, কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রী পদের অপমান করেছে।
এদিন এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জনগণের হাতে শোচনীয় পরাজয়ের আশঙ্কায় এই কাজ করেছে। দেশের সফল প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি বানচাল করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে এদিন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে খেলা হয়েছে।
সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল ঘোষণা করা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেন। তিনি বলেন পঞ্জাবে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যর্থ। দেশের প্রধানমন্ত্রী যে রাজ্য নিরাপত্তা দিতে পারে না, তাদের নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে আটকে পড়েছিলেন মোদী, এই ধরণের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা যায় না।
তবে পঞ্জাব সরকারের গঠন করা দুই সদস্যের কমিটিকে খারিজ করল বিজেপি। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর ফিরোজপুর সফরের সময় ত্রুটির তদন্ত করার জন্য দুই সদস্যের একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে পঞ্জাব সরকার। তিন দিনের মধ্যে এই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা করবে। কমিটিতে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মেহতাব সিং গিল এবং স্বরাষ্ট্র ও বিচার দফতরের প্রধান সচিব অনুরাগ ভার্মা। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার পঞ্জাব সফরে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে আদালত-তত্ত্বাবধানে তদন্তের আবেদনের শুনানি করতে সম্মত হয়েছে।