সংক্ষিপ্ত
রেল বোর্ডের সদস্যা সাংবাদিকের জানিয়েছিলেন যে, দুর্ঘটনার আগে সিগন্যাল গ্রিন থাকার কারণেই চালক ট্রেনটিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনার জন্য প্রাথমিক ভাবে চালকের কোনও দোষ নেই।
শুক্রবার খড়গপুর স্টেশন ছেড়ে এগোনোর পরেই ওড়িশায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে করমন্ডল এক্সপ্রেস। সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা স্মরণ করলে এখনও কেঁপে উঠছেন এই সুপারফাস্ট ট্রেনের চালক। এখনও তাঁদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন এই ট্রেনের চালক জে এন মোহান্তি এবং তাঁর সহকারী এইচ বেহারা। দুজনেই দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। বর্তমানে দু’জনের চিকিৎসা চলছে ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, চালক জে এন মোহান্তির আঘাত কিছুটা কম হলেও সহকারী চালক এইচ বেহারার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। দুর্ঘটনার পর জে এন মোহান্তির জ্ঞান ফিরেছে। শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তাঁর বাঁ পায়ে চিড় ধরেছে। তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তো বটেই, তার পাশাপাশি তাঁর শরীরও এখন অত্যন্ত দুর্বল।
কিন্তু, সহকারী চালক এইচ বেহারার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে আইসিইউতে তাঁর চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাঁকে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
দুর্ঘটনার পর ভারতীয় রেলের তরফ থেকে রেল বোর্ডের সদস্য জয়া বর্মা সিন্হা জানিয়েছেন, “চালক জানিয়েছেন যে, দুর্ঘটনা হওয়ার আগের মুহূর্তে আপ লাইন লাইনের সিগন্যাল সবুজ ছিল। তার পরেই গাড়ি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে এবং এর জেরেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে যে, যা ঘটেছে, তাতে চালকের কোনও দোষ নেই।”
আরও পড়ুন-
‘বিজেপি আর আরএসএস শুধু অতীত দেখে, ভবিষ্যৎ দেখতে পায় না’: ফের আক্রমণাত্মক রাহুল গান্ধী
আত্মীয়ের মৃতদেহ সংগ্রহ করতে গিয়েও চূড়ান্ত হয়রানি, করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা বাংলার যুবকের