তিরুপুরে কাজের সন্ধানে আসা এক ওড়িশার মহিলার সঙ্গে তিন প্রবাসী শ্রমিক গণধর্ষণ করে। অভিযুক্তরা মহিলার স্বামীকে বেঁধে রেখে তার সামনেই এই ঘটনা ঘটায়। পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

ওড়িশার মহিলার সাথে তামিলনাড়ুতে গণধর্ষণ: তামিলনাড়ুর তিরুপুর শহরে ওড়িশার ২৭ বছর বয়সী এক মহিলার সঙ্গে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিন প্রবাসী শ্রমিক ছুরি দেখিয়ে মহিলা ও তার স্বামীকে ভয় দেখায়। এরপর স্বামীর সামনেই মহিলার সঙ্গে পাশবিকতা করা হয়।

গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত তিন শ্রমিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনজনই বিহারের বাসিন্দা। একজন নাবালক। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি সোমবার রাতের। মহিলা তার স্বামী ও তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে কাজের সন্ধানে তিরুপুরে এসেছিলেন। সেদিনই তার সাথে এই ঘটনা ঘটে।

স্বামীর সাথে কাজের সন্ধানে তিরুপুরে এসেছিলেন মহিলা

মহিলা তার স্বামী ও সন্তানসহ সোমবার তিরুপুরে আসেন। তিনি কাজ খুঁজছিলেন, কিন্তু কোথায় যাবেন, কীভাবে কাজ পাবেন তা জানতেন না। কিছুক্ষণ শহরে ঘোরাঘুরি করার পর সবাই একটি সিনেমা হলের কাছে পৌঁছায়। সেখানেই অভিযুক্তরা তাদের সাথে যোগাযোগ করে।

অভিযুক্তদের নাম মোহাম্মদ নাদিম (২৪), মোহাম্মদ দানিশ (২৫) এবং একজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তিনজনই বিহারের বাসিন্দা। অভিযুক্তরা পরিবারকে কাজ খুঁজে পেতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এরপর তাদের একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অভিযুক্তরা তাদের রাত কাটানোর ব্যবস্থা করে।

ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়, এরপর মহিলার সাথে গণধর্ষণ

রাতের খাবার খাওয়ার পর পরিবার বিশ্রাম নিচ্ছিল। তখনই অভিযুক্তরা তার স্বামীর উপর হামলা করে। তাকে বেঁধে ফেলা হয় এবং মহিলার সঙ্গে ধর্ষণের আগে দুজনকেই ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়। পুলিশে খবর দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর সেই রাতেই তিনজনকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

দম্পতি ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর তিরুপুর উত্তর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মামলা রুজু করে মঙ্গলবার সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করে। মোহাম্মদ নাদিম ও মোহাম্মদ দানিশকে কোয়েম্বাটুর সেন্ট্রাল জেলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। নাবালককে কোয়েম্বাটুর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। পীড়িতার চিকিৎসা চলছে তিরুপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।