সংক্ষিপ্ত
বিশ্বের সবথেকে বড় শুধুমাত্র মহিলা পরিচালিত কারখানা হতে চলেছে ওলা ফিউচার ফ্যাক্টরি। বিরাট ঘোষণা করলেন ভাবিশ আগরওয়াল।
চলতি বছরের অগাস্টেই শুরু হয়েছিল ওলা সংস্থার ইলেকট্রিক স্কুটার এস ১ এবং এস ১ প্রো-এর বুকিং। গত সপ্তাহ থেকেই বিক্রি হওয়ার কতা থাকলেও, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সরবরাহ শুরু অক্টোবর মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দিতে হয়েছে সংস্থাকে। তবে, সোমবার তারা এই ইলেকট্রিক স্কুটারগুলির থেকেও বেশি সাড়া ফেলে দেওয়া এক ঘোষণা করল। ওলা গ্রুপের চেয়ারম্যান তথা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভাবিশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, তামিলনাড়ুতে অবস্থিত তাদের ইলেকট্রিক স্কুটার উৎপাদন কারখানাটি, অর্থাৎ ওলা ফিউচার ফ্যাক্টরি পুরোপুরি মহিলা পরিচালিত হতে চলেছে। এর জন্য তাদের সংস্থা, ১০,০০০ এরও বেশি মহিলা কর্মচারী নিয়োগ করবে,।
এদিন এক টুইট করে ভাবিশ আগরওয়াল বলেন, 'আত্মনির্ভর ভারতে আত্মনির্ভর মহিলাদের প্রয়োজন!' তিনি আরও জানান, ওলা ফিউচার ফ্যাক্টরিই হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শুদুমাত্র মহিলা পরিচালিত কারখানা। তিনিই আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই ১০,০০০ মহিলা কর্মীর প্রথম ব্যাচকে নিয়োগ করা হয়েছে তামিলনাড়ুর কারখানায়। টুইটের পাশাপাশি তাঁর ব্লগে ভাবিশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ওলা সংস্থায় তাঁরা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মী তৈরি করতে চান। সেইসঙ্গে মহিলাদের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ প্রদানের জন্য ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রহণের প্রচেষ্টাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
"
ভাবিশ জানিয়েছেন, প্রথম ব্যাচের মহিলা কর্মীদের মূল উৎপাদনের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্থ বিনিয়োগ করেছে ওলা। এখন তারা ওলা ফিউচারফ্যাক্টরি ইলেকট্রিক স্কুটারগুলির সম্পূর্ণ উৎপাদনে সক্ষম। মহিলাদের অর্থনৈতিক সুযোগ তাদের পরিবার এবং সামগ্রিকভাবে সামাজিক জীবনের মান উন্নত করে বলেও দাবি করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, শুধু শ্রমিকদের মধ্যে লিঙ্গসমতা আনতে পারলে ভারতের জিডিপি ২৭ শতাংশ পর্যর্ন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, এটা গবেষণায় প্রমাণিত।
ওলা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেছেন, এই উদ্যোগের অগ্রগতির জন্য সকলের সক্রিয় এবং সচেতন প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ভারতের উত্পাদন শিল্পে মহিলাদের অংশগ্রহণ সর্বনিম্ন, মাত্র ১২ শতাংশ। ভারতকে যদি বিশ্বের অন্যতম সেরা উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হয়, তাহলে মহিলা কর্মশক্তির জন্য উচ্চশিক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ওলা ফিউচারফ্যাক্টরিকে তাঁরা সব দিক থেকেই বিশ্বের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে পরিচালনা করতে চান বলে জানিয়েছেন ভাবিশ - তা কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোই হোক কিংবা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মশক্তির বিশ্ব গঠন।