সংক্ষিপ্ত
- কর্নাটক প্রথমবার তিনজন উপমুখ্যমন্ত্রী পেয়েছে
- কিন্তু তাঁদের একজন লক্ষ্মণ সাওয়াদি সাত বছর আগেই এক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন
- বিধানসভায় বসে পর্নোগ্রাফি দেখার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে
- তাঁকেই উপমুখ্যমন্ত্রী করায় সেই পুরোনো বিতর্ক ফের তাড়া করছে বিজেপি সরকারকে
সোমবারই কর্নাটকে তিনজন উপমুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী বিএস ইযেদুরাপ্পা। উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন গোবিন্দ মকথাপ্পা কারাজল, অশ্বথ নারায়ণ সিএন এবং লক্ষ্মণ সঙ্গাপ্পা সাওয়াদি। এই প্রথমবার এই রাজ্য এক সঙ্গে তিন-তিনজন উপমুখ্যমন্ত্রী পেল। আর প্রথম দিনই তিনজনের একজন ভুতের মতো তাড়া করল সাত বছরের পুরোনো এক বিতর্ক।
২০১২ সালে কর্নাটকের বিধানসৌধে আলোচনা চলাকালীনই, তখনকার বিজেপি সরকারের কোয়াপারেশন মন্ত্রী লক্ষ্মণ সঙ্গাপ্পা সাওয়াদি মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এক টিভি চ্যনেলের তোলা ফুটেজে দেখা গিয়েছিল লক্ষ্মণ সঙ্গাপ্পা সাওয়াদি মোবাইলের পর্ণগ্রাফির মতো একটি ভিডিও দেখছেন। সেই সময়ের আর নারী ও শিশু কল্যান মন্ত্রী সিসি পাতিল-কেও ঝুঁকে পড়ে সেই ভিডিও-তে মগ্ন থাকতে দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন -রাজনীতি ছাড়তে চান কুমারস্বামী, শান্তির খোঁজে কর্ণাটকের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
আরো পড়ুন - বিদ্রোহীদের নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত! কর্নাটকে বিজেপির কাঁটা সরিয়ে দিলেন স্পিকারই
আরো পড়ুন - মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ইয়েদুরাপ্পা, মন্ত্রিসভা গঠন এখনও বিশ বাঁও জলে
এই ফুটেজ টিভি চ্যানেলে দেখানো শুরু হতেই বিতর্ক শুরু হয়। সাওয়াদি তাঁর বিধানসভা এলাকা অথনিতে ওই ফুটেজ সম্প্রচার আটকাতে এমনকী তিনি বিদ্যুত সংযোগও বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে তিনি দাবি করেছিলেন, ভিডিওটি এক মহিলার গণধর্ষণের ভিডিও। ঠিক কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা দেখে তিনি নাকি, উদুপি এলাকায় রেভ পার্টি কী সর্বনাশ ডেকে আনছে সেই বিষয়ে বিধানসভায় বক্তব্য রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তাঁর সেই দাবি অবশ্য ধোপে টেকেনি। এক সপ্তাহের মধ্য়েই দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য, তাঁকে ও সিসি পাতিলকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। এরপর সাত বছর কেটে গিয়েছে। ফের সাওয়াদি ও সসি পাতিল দুজনকেই ক্যাবিবনেটে জায়গা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সাত বছরেও মানুষের স্মৃতি দুর্বল হয়নি। সাওয়াদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার পরই ফের সেই পর্নোগ্রাফি দেখার ফুটেজটি সম্প্রচার শুরু হয়েছে।
তবে এই নিয়ে কোনও ভাবনা নেই নবনিযুক্ত উপমুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেছেন, তিনি কোনও পদের জন্য কাউকে ধরেননি। জাতীয় ও রাজ্য স্তরের নেতারা তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন। আর তাদের আস্থার মর্যাদা দিতেই তিনি এই পদ গ্রহণ করেছেন। পার্টিকে মজবুত করার পাশাপাশি বিজেপি পরিচালিত সরকারের নামও উজ্জ্বল করবেন বলে তিনি শপথ নিয়েছেন।