সংক্ষিপ্ত

অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, 'কিছু সিদ্ধান্ত প্রথমে অন্যায্য মনে হতে পারে। কিন্তু পরে সেই প্রকল্পই দেশ গঠনে সাহায্য করবে।' নাম না করেই অগ্নিপথ নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। 

অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে এখনও উত্তাল দেশ। বিস্তীর্ণ এলাকা অগ্নিগর্ভ। সবথেকে বেশি বিক্ষোভ হচ্ছে বিহারে। এই অবস্থায় প্রকল্পের কথা ঘোষণার প্রায় সাত দিন পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, 'কিছু সিদ্ধান্ত প্রথমে অন্যায্য মনে হতে পারে। কিন্তু পরে সেই প্রকল্পই দেশ গঠনে সাহায্য করবে।' কর্নাটক সফরে গিয়েছিলেন মোদী। বেঙ্গালুরুর একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অগ্নিপথ প্রকল্পের নাম উচ্চারণ না করেই এই মন্তব্য করেন। 

যদিও বিরোধীরা প্রথম থেকেই অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তারা বলেছেন মোদী- সরকারের ভুলগুলির মধ্যে নবতম সংযোজন হল অগ্নিপথ প্রকল্প। এই প্রকল্প আরও পরীক্ষা নিরীক্ষ করে বাস্তবায়িত করার কথাও বলেছে বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের চাপে পড়ে আগেই কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে কিছু সংশোধন করেছে। কিন্তু তারপরেও ক্ষোভের আগুন পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। 

যাইহোক আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে চলমান বিবাদের মধ্যেই দেশের তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তিন সেনা প্রধান আদালা আলাদাভাবে কথা বলবেন। তিনটি প্রতিরক্ষ পরিষেবা ইতিমধ্যে নতুন সামরিক প্রকল্পের অধীনে অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আগামী মাস থেকেই আবেদনকারীরা অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে পারবে। 

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সামরিক বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি বলেছেন, যে যুবকরা অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার সাথে জড়িত তারা তিনটি পরিষেবায় যোগদান করতে পারবে না কারণ কাউকে নথিভুক্ত করার আগে একটি পুলিশ যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিনে অগ্নিবীরদের জন্য যে সমর্থনমূলক ব্যবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে তা বিক্ষোভ ও সহিংসতার কারণে নয়। কেন্দ্রীয় সরকার বা দেশের সেনা বাহিনী পিছিয়ে আসতে নারাজ বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। 

সোমবার বিধানসভা অধিবেষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অগ্নিপথ আসলে বিজেপির ক্যাডার তৈরির প্রকল্প। এরাই আগামী দিনে ভোট লুঠ করতে সাহায্য করবে। বিজেপির পার্টি অফিস পাহারা দেবে। বিজেপি আসলে গুন্ডা তৈরি করার জন্য চার বছরের এই ললিপপ দিচ্ছে।'

সপ্তাহ খানেক আগেই কেন্দ্রীয় সরকার অগ্নিপথ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে। জুলাই থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োদ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায়  বিক্ষোভ চলছে। অবরোধ বিক্ষোভের জেরে এখনও অগ্নিগর্ভ দেশের বহু এলাকা। রবিবার দিল্লি যন্তরমন্তরে অগ্নিপছের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ শুরু হয়েছে। যার নেতৃত্বে  রয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। সনিয়া গান্ধী রাহুল গান্ধীসহ একাধিক কংগ্রেস নেতা অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দিয়ে আন্দোলকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেরও পরামর্শ দিয়েছেন। যাইহোক এবার অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুধিতায় নামলেন মুখ্যমমন্ত্রী মমতা । তিনি রাজ্য বিধায়নসভায় দাঁড়িয়েই অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন।