সংক্ষিপ্ত
এ যেন কার্যত, প্রত্যাঘাত।
এবার বিজেপি নেতাকে খুন করে বাড়ির সামনে ঝুলিয়ে দিয়ে চলে গেল মাওবাদীরা। ৩৫ বছর বয়সী এই গেরুয়া নেতার নাম হল কুদিয়াম মাঢ়ো। তাঁকেও পুলিশের চর সন্দেহেই হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই হত্যাকাণ্ড চালানোর পর, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের চরদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি লিফলেটও এলাকায় ছড়িয়ে দিয়ে যায় দেশদ্রোহী মাওবাদীরা।
বিজাপুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ফরসেগঢ় থানার অন্তর্গত সোমনপল্লী গ্রামে। নিহত কুদিয়াম মাঢ়ো ছিলেন জনজাতি গোষ্ঠীর বিজেপির জেলা কৃষক সংগঠনের সহ-সভাপতি। পুলিশের চরবৃত্তির অভিযোগেই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে শুধু বস্তার ডিভিশনেই মাওবাদীদের হাতে খুন হয়েছেন অন্তত ৬০ জন সাধারণ গ্রামবাসী। এদিনের ঘটনার পর নতুন করে আবারও মাওবাদীদের খোঁজে বস্তারের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
তবে মনে করা হচ্ছে যে, বিজেপি নেতাকে খুনের ঘটনায় কেন্দ্রের শাসক দলের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা মাওবাদীরা। উল্লেখ্য, মাওবাদকে দেশ থেকে পুরোপুরি নির্মুল করতে কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি বার্তাও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, লড়াই এখন একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। চূড়ান্ত হামলার সময় এসে গেছে এবার। আগামী ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে আমরা দেশ থেকে মাওবাদকে সম্পূর্ণ নির্মূল করব।”
তা কিন্তু নিছক মুখের কথা নয়। কারণ, রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ২৫৭ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর এনকাউন্টারে। সেইসঙ্গে, ৮৬১ জনকে গ্রেফটার করা হয়েছে এবং ৭৮৯ জন আত্মসমর্পণ করেছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।