সংক্ষিপ্ত

কর্ণাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য 
করোনা থেকে বাঁচাতে পারে ভগবানই 
মন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা কংগ্রেসের 
কিছুটা সামলে নিয়ে ব্যখ্যা দেন নিজের বক্তব্যের সপক্ষে 
 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে দেশে। ইতিমধ্যে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় গুজরাটকে পিছনে ফেলে চতুর্থ স্থান দখল করেছে কর্নাটক। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজারেও বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৯২৮ জনের। এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে রীতিমত বিতর্কতি মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। 

কর্নাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বি শ্রীরামুলু কংগ্রেসের তোলা অভিযোগের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কার হাত রয়েছে? কেবলমাত্র ভগবানই একমাত্র পারেন আমাদের সকলকে রক্ষা করতে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন ধনী-দরিদ্র, সরকার-বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যেও বৈষম্য করে না। সতর্ক থাকাই একমাত্র উপায় বলেও মন্তব্য করেন ৪৮ বছরের স্বাস্থ্য মন্ত্রী। 

বিএস ইয়েদুরাপ্পার স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরও বলেন আগামী দু মাসের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। কেউ যদি এই বিষয়টিকে সরকারে গাফিলতি বা মন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বলে দাবি করেন তাহলে তা খুবই অন্যায় হবে। 

চুসুলে ১৫ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে প্যাংগং লেকের ওপর জোর, ইতিমধ্যেই সেনা সরিয়েছে চি

করোনা মহামারী পর স্বস্তি ফিরছে ড্রাগন অর্থনীতিতে, কতদিন তা স্থায়ী হবে তা নিয়ে রয়েছে চিন্তার মেঘ ...
আর স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই আসরে নেমে পড়ে কংগ্রেস।   ভগবানই যদি করোনা থেকে রাজ্যকে বাঁচাবেন তাহলে বিজেপি সরকারের কী প্রয়োজন কর্ণাটকে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় রীতিমত ব্যর্থ কর্ণাটনের বিজেপি সরকার। কারণ আক্রান্তের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা কর্ণাটককে চার নম্বরে পৌছে দিয়েছে। রাজ্যের হাল ক্রমশই খারাপ হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে কংগ্রেস। 

জয়ের পরেও অশোক গেহলটের 'গলার কাঁটা' শচীন পাইলট, রাহুল না জ্যোতিরাদিত্য কাকে বাছবেন বিদ্রোহী নেতা ...

যদিও সমালোচনার মুখে পড়ে কিছুটা হলেও ঢোক গিলতে বাধ্য হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী। তিনি বলেন তাঁর বক্তের ভুল ব্যখ্যা করা হয়েছে। তিনি নাকি বলতে চেয়েছিলেন প্রতিষেধক না আসা পর্যন্ত ঈশ্বরের ওপর ভরসা করেই থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।