সংক্ষিপ্ত

Smart electricity meter: স্মার্ট বিদ্যুৎ মিটার সংগ্রহের জন্য ৭৫০০ কোটি টাকার চুক্তিতে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল কর্ণাটকে। শাসক বিরোধী তরজায় উত্তাল বিধানসভা।

 

Smart electricity meter: স্মার্ট বিদ্যুৎ মিটার সংগ্রহের জন্য ৭৫০০ কোটি টাকার চুক্তিতে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল কর্ণাটকে। বিজেপি বিধায়ক সি.এন. অশ্বথ নারায়ণ বৃহস্পতিবার চুক্তি বাতিল অনিয়মের জন্য একটি হাউস কমিটির গঠনের দাবি জানিয়েছেন। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। বিধানসভায় রাজ্য বাজেটের উপর বিতর্কের সময় এই বিষয়টি উত্থাপন করে ডঃ অশ্বথ নারায়ণ অভিযোগ করেন যে প্রায় ৩৯ লক্ষ স্মার্ট মিটার সংগ্রহের চুক্তিতে ত্রুটি রয়েছে।

বিজেপি বিধায়ক বলেন, নির্মাতাদের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহের পরিবর্তে, সরবরাহকারীকে চুক্তিটি দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে স্মার্ট মিটারের দাম বেড়ে গিয়েছিল। এছাড়াও স্মার্ট মিটারের জন্য সফ্টওয়্যার যে কোম্পানি থেকে নেওয়া হয়েছে সেটি আগেই কালো তালিকাভুক্ত ছিল। তিনি অভিযোগ করেন যে বেসকম অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ এবং নতুন সংযোগ চাওয়া ব্যক্তিদের স্মার্ট মিটার ইনস্টল করা বাধ্যতামূলক করেছে, যদিও কর্ণাটক বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (KERC) নির্দেশিকা অনুসারে কেবলমাত্র অস্থায়ী সংযোগের জন্য স্মার্ট মিটার বাধ্যতামূলক করা উচিত।

বিজেপি বিধায়কের যুক্তি ছিল কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকাগুলিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে স্মার্ট মিটার শুধুমাত্র অস্থায়ী সংযোগের জন্য বাধ্যতামূলক করা উচিত, তবে নতুন সংযোগের জন্য এটি বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে যখন সমস্ত বিদ্যমান মিটার স্মার্ট মিটার দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। কর্ণাটকের জ্বলানিমন্ত্রী কে.জে. জর্জ কয়েক দিন আগেই একটি নোটিশের লিখিত জবাবে বলেছিলেন, স্মার্ট মিটার ইনস্টল করা কেবল অস্থায়ী সংযোগের জন্য বাধ্যতামূলক এবং নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে এটি ঐচ্ছিক। বিজেপি বিধায়কের বিরোধিতা করে জর্জ আরও বলেন, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতেব। শুক্রবার বিস্তারিত উত্তর দেবেন। তিনি আরও বলেছেন, সফ্টওয়্যার কোম্পানিতে যদি সত্যি কালো তালিকাভুক্ত করা হয় তাহলে তিনি চুক্তি বাতিল করতেও প্রস্তুত।