India-Pakistan Tension: পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
Pahalgam Terrorist Attack: পাকিস্তানের (Pakistan) সব বিমানের জন্যই ভারতের আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হল। পাকিস্তানের কোনও বিমানকেই ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকা জঙ্গিদের খোঁজ চলছে। তাদের যারা সাহায্য করেছিল, তাদেরও খোঁজ চলছে। কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সেনাবাহিনী। বুধবার থেকেই পাকিস্তানের সব বিমানের জন্য ভারতের আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হল। আপাতত ২৩ মে পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে। সরাসরি পাকিস্তান সরকারের অধীনে থাকা, পাকিস্তানের পরিচালিত, পাকিস্তানের কোনও সংস্থার মালিকানাধীন, পাকিস্তানের বিমান সংস্থার লিজ নেওয়া বা লিজ দেওয়া বিমানকে ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পাকিস্তানের সামরিকবাহিনীর সব বিমানের জন্যও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অসমারিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের (Ministry of Civil Aviation) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের বিমানের জন্য এই নির্দেশিকা কঠোরভাবে পালন করতে হবে।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে বাড়ছে উত্তেজনা
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারতের সেনাবাহিনীর প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তান। বুধবার ভারতের বিমানগুলির জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ করার কথা জানানো হয়েছে। ভারতের বিমানবাহিনী এয়ার স্ট্রাইক করতে পারে বলে আশঙ্কায় পাকিস্তান। এই কারণেই ভারতের বিমানগুলির জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ করার কথা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশে সব বিমান নিষিদ্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। তবে এয়ারস্ট্রাইক করতে চাইলে পাকিস্তানের অনুমতি নিয়ে যাবে না ভারতের বিমানবাহিনী। ফলে আকাশপথ বন্ধ করেও নিশ্চিন্তে থাকতে পারছে না পাকিস্তান।
খরচ বাড়ছে আর্থিক সমস্যায় থাকা পাকিস্তানের
ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশই একে অপরের জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ভারতের যত না ক্ষতি হবে, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে পাকিস্তান। কারণ, এবার ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে না পেরে পাকিস্তানের বিমানগুলিকে চিন ও শ্রীলঙ্কার আকাশপথ ব্যবহার করতে হবে।এর ফলে যেমন উড়ানের সময় বাড়বে, তেমনই খরচও বাড়তে চলেছে। পাকিস্তানের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার দশা। এর মধ্যে বিমানের জ্বালানির খরচ বাড়লে পাকিস্তানের অর্থনীতির উপর চাপ বাড়তে চলেছে।
ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক যুদ্ধ
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই ভারতের বিমানগুলির জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কও কার্যত ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করে পাকিস্তান সরকার। পাল্টা পাকিস্তানের উপরেও নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত রাখা। পাকিস্তানের বেশিরভাগ অংশ সিন্ধুর জলের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভর করে। ফলে এই জল বন্ধ হয়ে গেলে নানা দিক থেকে সমস্যায় পড়বে পাকিস্তান। কোয়েটা, বালোচিস্তান-সহ বিভিন্ন অংশে এমনিতেই জলের সমস্যা রয়েছে। এরপর সিন্ধুর জল না পেলে পাকিস্তানের চরম ক্ষতি হবে। অন্যদিকে, সিন্ধুর যে জল এতদিন পাকিস্তানকে দেওয়া হত, সেই জল এবার ভারতে চাষের কাজে লাগানো যেতে পারে। এই জল পরিশোধন করে পানীয় হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে সিন্ধুর জল পুরোটাই পেলে ভারতের লাভ হতে চলেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ পাকিস্তান
বুধবারই ফোন করে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Muhammad Shehbaz Sharif) সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও। এই কথোপকথনের সময় পাক প্রধানমন্ত্রী আর্জি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন ভারতকে শান্ত করে। ভারত যাতে সামরিক অভিযান না চালায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে পাকিস্তান। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) সেনাবাহিনীকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। ফলে এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন বিভাগই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


