Pahalgam Attack: যতই সময় এগোচ্ছে, ততই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।

Pahalgam Attack: হামলাকারীদের কাউকে এখনও ধরা যায়নি। তবে অনন্তনাগ সহ কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ, সিআরপিএফ এবং সেনাবাহিনী। সূত্র মারফৎ জানা গেছে, জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের জন্য বেশ কয়েকটি বিশেষ ধরনের চিনা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেছিল (Pahalgam Terror Attack)।

কার্যত, তদন্তে উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য। পহেলগাঁও (Pahalgam) হামলার পরিকল্পনাও নাকি করা হয়েছিল সেই বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমেই। এমনকি, জঙ্গিরা যোগাযোগের স্বার্থে ব্যবহার করেছিল চিনা ‘স্যাটেলাইট ফোন’।

গোয়েন্দারা পহেলগাঁওতে এই ঘটনা ঘটার দিনই ওই ধরনের একটি ফোনের উপস্থিতি বুঝতে পারেন (Pahalgam news)। গোয়েন্দা সূত্র উল্লেখ করে এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন-নিউজ় ১৮।

সূত্র দাবি করছে, নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের জন্য উপত্যকা অঞ্চলে সাধারণত যে মোবাইল অ্যাপগুলি ব্যবহার করে থাকে জঙ্গিরা, সেগুলি আসলে ভারতে পুরোপুরিভাবেই নিষিদ্ধ। গত ২০২০ সালে, গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকেই চিনের ওই অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল ভারত সরকার (Pahalgam Terror Attack News।

তবে এই অ্যাপগুলিতে তথ্য গোপনের পদ্ধতি অর্থাৎ, এনক্রিপশন সিস্টেম অনেক বেশি শক্তিশালী এবং আধুনিক। ফলে, এগুলি সহজেই হ্যাক করা সম্ভব নয়। তাই এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ঠিক কী কথাবার্তা চলছে, বাইরে থেকে সহজে তার আঁচ পাওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। আর ঠিক সেই কারণেই, অ্যাপগুলিকে বেছে নেয় জঙ্গিরা।

আর এই মুহূর্তে তদন্তের বড় আপডেট এটিই। কার্যত, তদন্তে উঠে আসছে এইরকমই বিস্ফোরক তথ্য। পহেলগাঁওতে হামলার পরিকল্পনাও নাকি করা হয়েছিল সেই বিশেষ চিনা অ্যাপের মাধ্যমেই। শুধু তাই নয়, জঙ্গিরা যোগাযোগের স্বার্থে ব্যবহার করেছিল চিনা ‘স্যাটেলাইট ফোন’ও।

সূত্র মারফৎ জানা গেছে, নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের জন্য জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলে সাধারণত যে মোবাইল অ্যাপগুলি জঙ্গিরা ব্যবহার করে থাকে, সেগুলি আসলে ভারতে পুরোপুরিভাবেই নিষিদ্ধ রয়েছে। সেই ২০২০ সালে, গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকেই চিনের ওই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল ভারত সরকার (Pahalgam Terror Attack Update)।

কিন্তু এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ঠিক কী কথাবার্তা চলছে, বাইরে থেকে সহজে তার আঁচ পাওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। কারণ, সেগুলির কঠিন এনক্রিপশন সিস্টেম। আর ঠিক সেই কারণেই, এই অ্যাপগুলিকে বেছে নেয় জঙ্গিরা।

গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার দিন ওই এলাকাতেই একটি চিনা ‘স্যাটেলাইট ফোন’পাওয়া গেছিল। গোয়েন্দাদের রাডারে তা ধরা পড়েছে বলে খবর। কিন্তু সেই ফোনটি উদ্ধার করা যায়নি। তবে তদন্তকারীরা একটি বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত যে, জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা চালাত এই ফোন ব্যবহার করেই (Pahalgam Attack)।

YouTube video player

যদিও ‘স্যাটেলাইট ফোন’সাধারণ মোবাইল ফোনের মতোই দেখতে। কিন্তু তার কার্যক্ষমতা অনেকটাই আলাদা এবং তা মোবাইল টাওয়ারের মাধ্যমে চালানো সম্ভব নয়। স্যাটেলাইটের সিগন্যাল ব্যবহার করে এই ফোনে কথোপকথন চলতে থাকে। আর এই ফোনের সুবিধা হল, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা বা ঘন জঙ্গলের ভিতরে যেখানে সাধারণ ফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না, সেখানেও এই ‘স্যাটেলাইট ফোন’ চালানোর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই (Pahalgam Attack latest news)।

তদন্তকারীদের ধারণা, পহেলগাঁও হামলার পরিকল্পনার সময় এই ধরনের চিনের ‘স্যাটেলাইট ফোন’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। এনআইএ আপাতত এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে।

উল্লেখ্য, জঙ্গিদের ব্যবহার করা এই চিনা অ্যাপগুলিতে রয়েছে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’সিস্টেম। ফলে, যিনি মেসেজ পাঠাচ্ছেন এবং যাকে পাঠাচ্ছেন, কথোপকথন শুধু তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। ‘কোয়ান্টাম রেজ়িস্ট্যান্স অ্যালগোরিদম’ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই অ্যাপগুলিতে। বলা চলে, এটি গোপনীয়তা রক্ষার আরও এক ধরনের উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তি (Pahalgam Attack update)।

শুধু তাই নয়, এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহার করা হয়েছে স্টেগ্যানোগ্রাফি প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে ছবি এবং ভিডিওর মতো ফাইলের ট্রান্সফার করার আড়ালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন মেসেজ লুকিয়ে পাঠানো যায়। স্বাভাবিকভাবেই, তা চোখের সামনে থাকলেও কিন্তু ধরা পড়বে না। কারণ, তা ইনভিসিবল থাকে।

YouTube video player

এদিকে হ্যাকিং এড়াতে এই অ্যাপগুলির অন্যতম শক্তি হল এদের স্পিড। কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যে এই অ্যাপ তথ্য আদানপ্রদান করে ফেলতে পারে। আর খুব দ্রুত এই অ্যাপগুলি নিজেদের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বদল করতে সক্ষম। ফলে, আড়ি পেতেও তথ্য বের করে আনা বেশ মুশকিলের কাজ।

একটা সময় আল কায়েদা পর্নোগ্রাফির সাইটে স্টেগ্যানোগ্রাফি ব্যবহার করে তথ্য আদানপ্রদান করত। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই পরে তাদের ঐ কৌশল ধরে ফেলে। এবার পহেলগাঁও হামলার ক্ষেত্রেও ঠিক একই ধরনের প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করা হয়েছিল বলেই অনুমান তাবড় তাবড় গোয়েন্দাদের।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।