সংক্ষিপ্ত
অঞ্জ কিন্তু এখনও পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পাননি। অন্যদিকে সীমা হায়দারও এই দেশে এসে ভারতের নাগরিকত্ব পাননি। তাও তাঁরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করলেন।
সীমা আর অঞ্জু- দুই দেশের বাসিন্দা। তাদের আলাপ পরিচয় কিছুই নেই। কিন্তু তাদের প্রেমের গল্প দুজনকে একই সুতোয়ে বেঁধে দিয়েছে। কারণ দুজনেই ভিনদেশী প্রেমিকের ভালবাসায় পাগল হয়ে নিজের সংসার আত্মীয় পরিজন ত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। একজন পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন, অন্যজন ভারতে থেকে পাকিস্তানে গেছেন। প্রতিবেশী দুই দেশের স্বীধানতা দিবসের উদযাপনেও দুই ভিনদেশী মহিলা সক্রিয়ভাবে সামিল হয়েছেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়েছে।
পাকিস্তানের সীমার ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ অগাস্ট। বাকি মাত্র আর এক দিন। তার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অঞ্জুর ভিডিও। সেখানে তিনি ভারতের তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা নিয়ে নাচ করছেন। কখনও ভারতের জাতীয় পতাকাকে নিজের গায়েও জড়িয়ে নিচ্ছেন। তাঁর পরনে ছিল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ পোশাক- লাল পাড়ের সাদা শাড়ি। অন্যদিকে শচীন মিনা ও তাঁর আইনজীবী নিজের বাড়ি নয়ডাতে স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। কেন্দ্র সরকারের 'হর ঘর তিরঙ্গা'প্রকল্পেরই অংশ ছিল। সেখানেও পাকিস্তানের নাগরিক সীমার সক্রিয় উপস্থিতি ছিল।
অঞ্জুর পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পালন
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান আজ অর্থাৎ ১৪ অগাস্ট। এদিন অঞ্জুকে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পালন করতে দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়া রীতিমত ভাইরাস হয়েছে সেই ছবি। সেখানে অঞ্জুর পাশে ছিলেন তাঁর পাকিস্তানের স্বামী নাসরুল্লাহ। তবে এই নিয়ে অঞ্জু কোনও মন্তব্য করেননি। অঞ্জু কিন্তু ৩০ দিনের ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। বর্তমানে সেখানেই পাকাপাকি ভাবে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুনঃ
কন্যাশ্রী প্রকল্পের ১০ বছর পূর্ণ, নিজের ২টি কবিতা পাঠ করেই মনের কথা জানালেন মমতা - দেখুন ভিডিও
গালওয়ান সংঘর্ষের পর চিনকে চাপে রাখতে সক্রিয় ছিল IAF, চিনের ওপর 'বাজপাখির' মত নজর ভারতীয় বিমান বিহনীর
Independence News: জাতীয় পতাকা নিয়ে শ্রীনগরের ডাল-লেকের ধারে বাইক মিছিল CRPF-এর
অঞ্জ কিন্তু এখনও পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পাননি। অন্যদিকে সীমা হায়দারও এই দেশে এসে শচীন মিনাকে বিয়ে করার পরেও ভারতের নাগরিকত্ব পাননি। তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরেই অঞ্জু যেমন ভালবাসার তাগিতে নিজেকে পাকিস্তানি প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন, তেমনই সীমাও শচীনের কাছে পাকাপাকি ভাবে থেকে যাওয়ার জন্য নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করেত বদ্ধপরিকর। তবে অঞ্জু আর সীমার ভবিষ্যৎ কিন্তু নির্ভর করছে সীমান্তে যুযুধান দুই দেশের সরকারের ওপর।