সংক্ষিপ্ত
সাধারণত দুই পক্ষ বিনিময় করে গোলাগুলি। পাক স্বাধীনতা দিবসের দিন শুভেচ্ছা বার্তা দিল ভারতীয় সেনা।
আগামীকাল দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। তার ঠিক একদিন আগে স্বাধীনতা দিবস পালন করল প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যে যে এলাকায় সাধারণত দুই পক্ষকে গোলাগুলি বিনিময় করতে দেখা যায়, সেইসব এলাকায় শনিবার দুই পক্ষের সেনা সদস্যরা নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিনিময় করলেন। পাকিস্তানি সেনাদের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা।
উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার তাংধর সেক্টরের চিলহানা টিথওয়াল ক্রসিং পয়েন্টে পাক সেনাদের মিষ্টি উপহার দেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এক ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটা ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে একটা গুডইউল জেস্টার বা শুভেচ্ছামূলক পদক্ষেপ ছিল। চিলহানা তিথওয়াল ক্রসিং পয়েন্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে তাদের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে সেনার পক্ষ থেকে শুধু মিষ্টি উপহারই দেওয়া হয়নি, সেনার পক্ষ থেকে পাকিস্তানিদের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি বজায় রাখার ইচ্ছাও প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুধু এই বছরই নয়, গত কয়েক বছর ধরেই, ভারত নিয়ন্ত্রণরেখা অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রেই শুভেচ্ছা বিনিময় করে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রণরেখার দুই প্রান্তের জনগণই ওই এলাকার গ্রামগুলিতে শান্তি বজায় রাখার জন্য, ভারতীয় বাহিনীর এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে। এই ইতিবাচক প্রচেষ্টাগুলি নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের রাস্তা পরিষ্কার করে দেবে বলেই আশা বাহিনীর।
আরও পড়ুন - Vehicle Scrappage Policy - কী এই নীতি, এতে করে কী লাভ হবে আমার-আপনার, জানুন বিস্তারিত
এদিন অবশ্য শুধু তাংধর সেক্টরেই নয়, পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কাশ্মীরের পুঞ্চ ও মেনধর সেক্টরেও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিষ্টি বিনিময় করা হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের অগাস্টে, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর, গত দুই বছর এই মিষ্টি বিনিময়ে অংশ নেয়নি পাকিস্তান। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মহলে কাশ্মীর সমস্যাকে তুলে ধরে ভারতের বদনাম করার অনেক চেষ্টাই করা হয়েছে গত দুই বছরে। কিন্তু, কোথাও পাত্তা পায়নি ইমরান খান সরকার। এবারের মিষ্টি বিনিময়, তাদের হাল ছাড়ারই স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।