সংক্ষিপ্ত
সীমা হায়দার জানিয়েছেন, তিনি খুব তাড়াতাড়ি মা হতে চলেছেন। এটি শচীনের সন্তান। শচীন মীনার বাবা তথা সীমার শ্বশুর বলেছেন সীমা আর শচীনের সন্তান হবে।
অবৈধভাবে ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানের গৃহবধূ সীমা হায়দার। সঙ্গে ছিল তার দুই সন্তান। সীমান্ত পার হয়ে তিনি এই দেশে এসেছিলেন তাঁর প্রেমিক শচীন মীনার কাছে। গত বছর অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে এই দেশে এসেছিলেন। তারপর এই দেশেই থেকে যান। নতুন বছরেই সুখবরের আশায় দিন গুণছেন শচীন ও সীমা। কাণর তাদের সন্তান আসতে চলেছে।
সীমা হায়দার জানিয়েছেন, তিনি খুব তাড়াতাড়ি মা হতে চলেছেন। এটি শচীনের সন্তান। শচীন মীনার বাবা তথা সীমার শ্বশুর বলেছেন সীমা আর শচীনের সন্তান হবে। যা নিয়ে তাদের পরিবার বর্তমানে রীতিমত উৎসাহী। নতুন অতিথিকে স্বাগত জানানোর চেষ্টায় দিন গুণছেন তাঁরা।
সীমা হায়দার ২০১৯ সালে পাবজি গেম খেলতে খেলতে শচীনের সঙ্গে আলাপ করে। অনলাইনে আলাপ থেকেই তাদের প্রেম শুরু হয়। তারপর একে অপরকে এতটাই ভালবাসেন যে সীমা সীমান্ত পার হয়ে এদেশে চলে আসেন ২০২৩ সালের মে মাসে। সেই থেকেই তারা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
সীমা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা। পাকিস্তানের নাগরিক গোলাম হায়দারকে বিয়ে করেছিলেন। করাচিতে থাকতেন। শচীনকে বিয়ের আগেই সীমা চার সন্তানের মা । যারমধ্যে দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি ভারতে এসেছিলেন।
গত বছরের জুলাই মাসে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সীমা এবং শচীনকে পাকিস্তানি গুপ্তচর হতে পারে এমন সন্দেহে গ্রেফতার করেছিল। তবে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। মে মাসে সীমা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে এই দেশে থাকতে চেয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন। যদিও তার আবেদন মঞ্জুর এখনও হয়নি। তবে সীমা বলেছেন, তিনি শচীনের প্রেমে পড়েছেন। হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে হিন্দু রীতি অনুসারে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা।