সংক্ষিপ্ত

পরিকল্পনা করে সকলের নজর এড়িয়ে ভেতরে ঢোকার পর কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়ে গেলেও আসল প্ল্যান, অর্থাৎ গায়ে আগুন লাগা থেকে ধৃত যুবকরা বিরত থাকল কেন?

১৩ ডিসেম্বর অধিবেশন চলাকালীন হলুদ ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ভারতীয় সংসদ ভবনের অধিবেশন কক্ষ। প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার, চেঁচামেচি, হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন দেশের মন্ত্রী আমলারা। সেই ঘটনায় পাকড়াও করা হয় ৫ দুষ্কৃতী যুবককে। ধৃতদের নাম, ললিত ঝাঁ, সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন, নীলম আজাদ, অমল শিণ্ডে। এদের মধ্যে এই কাণ্ডের মূল পরিকল্পক ললিত ঝাঁকে জেরা করে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল পুলিশ। 

-

পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত থাকা ললিত ঝাঁ পুলিশি জেরার মুখে স্বীকার করেছেন যে, সংসদ ভবনের ভেতরে নিজেরাই নিজেদের গায়ে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্তরা। অন্য কোনও ব্যক্তি বা সাংসদকে আক্রমণ করার লক্ষ্য নিয়ে তারা ভেতরে ঢোকেনি। তার এই চাঞ্চল্যকর দাবি শুনে পুলিশের পালটা প্রশ্ন, পরিকল্পনা করে সকলের নজর এড়িয়ে ভেতরে ঢোকার পর কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়ে গেলেও আসল প্ল্যান, অর্থাৎ গায়ে আগুন লাগা থেকে তারা বিরত থাকল কেন?

-

এর জবাবে ধৃত ললিত জানিয়েছে যে, শরীরকে আগুনের কবল থেকে বাঁচানোর জন্য বিশেষ একপ্রকার জেল-এর প্রয়োজন ছিল, যা তাদের হাতে এসে পৌঁছয়নি। সেই জেল না পাওয়ার দরুন সংসদ ভবনের ভেতরে গায়ে আগুন লাগাতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েক মাস ধরে এই হানার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। লোকসভায় হলুদ রঙের ধোঁয়া ছড়িয়ে আদতে সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিল তারা। একটি রাজনৈতিক দল খোলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। গায়ে আগুন ধরিয়ে নিজেদের দাবি-দাওয়াগুলির জন্য সোচ্চার হতে চেয়েছিল ললিত ঝাঁ এবং তার দলবল। 

-

উল্লেখ্য, যে বিশেষ আগুন প্রতিরোধী জেল (Fire retardant Gel) নিয়ে সংসদের ভেতরে ঢোকার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেটি মূলত অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই বিশেষ জেলগুলিতে জল, মাড় এবং কাদামাটির সংমিশ্রণ থাকার কারণে, এগুলি গায়ে লাগিয়ে আগুন ধরালে শরীর পুড়ে যায় না। সেই জেল পাওয়া যায়নি বলেই সংসদের অন্দরে গায়ে আগুন লাগানো থেকে বিরত ছিল ধৃত ব্যক্তিরা। 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।