সংক্ষিপ্ত

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছে, আসন্ন বাজেট অধিবেশনে প্রবলভাবে মেনে চলতে হবে কোভিড-১৯ প্রোটোকল। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক ইতিমধ্যেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় অধিবেশনে সময় ভাগ করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বাজেট অধিবেশন শুরু হতে পারে ৩১ জানুয়ারি। এই অধিবেশন চলবে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। 

আসন্ন বাজেট অধিবেশনে (Budget Session) উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লির করোনাভাইরাস (Coronavirus) সংক্রমণ। দিল্লিতে কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ৪০০জনেরও বেশি সংসদ কর্মী করোভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় সংসদের (Parliament) বাজেট অধিবেশনে সংসদের লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশনে সময় ভাগাভাগি হতে পারে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছে, আসন্ন বাজেট অধিবেশনে প্রবলভাবে মেনে চলতে হবে কোভিড-১৯ প্রোটোকল। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক ইতিমধ্যেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় অধিবেশনে সময় ভাগ করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বাজেট অধিবেশন শুরু হতে পারে ৩১ জানুয়ারি। এই অধিবেশন চলবে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, যদি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুমোদন হয় তাহলে দুটি শিফটে হবে বাজেট অধিবেশন। রাজ্যসভার অধিবেশন সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে। চলবে দুপুর ২টো পর্যন্ত। তার পর এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে লোকসভার অধিবেশ শুরু হবে দ্বিতীয় শিফটে। বিকেল ৩টে থেকে শুরু হবে লোকসভার অধিবেশন। চলতে রাট আটটা পর্যন্ত। কিন্তু বাজেটের দিন কোনও নির্ধারিত সময়সীমা থাকবে না বলেও জানিয়েছেন সূত্র। 

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানান হয়েছে, পার্লামেন্টে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন দুটি আলাদা সময়ে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সংসদের অধিবেশন চলাকালীন নিরাপদ দূরত্ববিধি বজায় রেখেই উভয় কক্ষে সাংসদদের বসার ব্যবস্থা করা হবে। 

সম্প্রতি সংসদের ৪০০ জনের বেশি কর্মী কোভিড১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ও লোকসভার স্পিকার পরিস্থিতি পর্য়ালোচনা করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি সুস্ঠুভাবে যাতে বাজেট অধিবেশন করা যায় তার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

শীতকালীন অধিবেশনের সময় দেশের কোভিড পরিস্থিতি  অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তাই সেই সময় কোনও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শুধুমাত্র কোভিড সুরক্ষা প্রোটোকল মেনে চলা হয়েছিল।

অন্যদিকে আগেই বলা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়তে পারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফেব্রুয়ারি মাসেই এই দেশে আছড়ে পড়বে করোনাভাইারাসের তৃতীয় তরঙ্গ (Coronavirus 3rd Wave)। মাদ্রাস আইআইটির (IIT Madrass) বিশ্লেষণ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির ১-১৫ তারিখের মধ্যএই করোনার তৃতীয় তরঙ্গের সাক্ষী থাকবে দেশ। আগামী ৪  সপ্তাহে গোটা দেশের কাছেই অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলেও জানান হয়েছে এই রিপোর্টে। একই সঙ্গে এই রেকর্ডে জানান হয়েছে একজন সংক্রিমত ব্যক্তি একসঙ্গে কতজনকে সংক্রমিত করতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে এই মান একের নিচে গেলেও মনে করা হবে  মহামারি শেষ হয়েছে। 

COVID-19 End: ওমিক্রনেই কোভিড -১৯ মহামারি শেষ হয়ে যাবে, বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের

UP Assembly Election 2022: যোগীর দলে বড় ধাক্কা, ইস্তফা দিলেন আরও এক মন্ত্রী দারা সিং চৌহান