কর্নাটকের চিত্রদুর্গায় একটি যাত্রিবাহী বাসে লরির ধাক্কায় আগুন লেগে যায়, যার ফলে অন্তত ১৭ জন যাত্রীর ঝলসে মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাটি ঘটে জাতীয় সড়ক ৪৮-এ, যখন বেঙ্গালুরু থেকে আসা বাসটিকে একটি ট্রাক ধাক্কা মারে।
বড়দিনের সকালে ঘটল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। ঝলসে মৃত্যু প্রায় ১৭ জনের। লরির ধাক্কায় যাত্রিবাহী বাসে আগুন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রায় ১৭ জনের। প্রথমে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। পরে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে কর্নাটকের চিত্রদুর্গায় ঘটে এই ঘটনা। ইতিমধ্যে দমকল পৌঁছে গিয়েছে সেখানে। চলছে উদ্ধার কাজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বেঙ্গালুরু থেকে বাসটি রওনা দিয়েছিল। বাসটি রাত ২টো নাগাদ চিত্রদুর্গে পৌঁছায়। ঠিক সেই সময় গোরলাথু ক্রসিং-র কাছে জাতীয় সড়ক ৪৮ দিয়ে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। পুলিশের অনুমান, ট্রাক চালক ঘুমিয়ে পড়ায় সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে ধাক্কা মাসে। সেই সময়ই জ্বলে ওঠে বাসটি। অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো বাসটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে ঝলসে মৃত্যু হয় ১৭ জনের।
দুর্ঘটনার সময় বাসে অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানা যায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হিরিয়ুর ও চিত্রদুর্গের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আপাতত মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার অভিঘাত এতই বেশি ছিল যে, লরিটি বাসের মধ্যে আটকে যার। যার ফলে যাত্রীদের উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে ৪৮ নম্বর হাইওয়েতে বেশ কয়েক ঘন্টা যানজটও হয়েছিল। ওই রাস্তা দেশের অন্যতম ব্যস্ত জাতীয় সড়ক।
রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন চিত্রদুর্গের পুলিশ সুপার রঞ্জিত। তিনি বলেন, তদন্ত চলছে। হিরিয়ু গ্রামীণ থানায় এটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বাসের কন্ডাক্টর মহম্মদ সেলিম পুলিশকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি ঘুমিয়েছিলেন। তাই ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা তিনি জানেন না।


