সংক্ষিপ্ত
গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি কাউন্সিল শুক্রবার, অর্থাৎ ১৫ই সেপ্টেম্বর লখনউতে বৈঠক করতে চলেছে। কাউন্সিল জ্বালানির দাম জিএসটি করের আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা করতে পারে।
প্রতিদিন পেট্রল ডিজেলের দামে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্ত ভারতের। এবার সেই আগুনে কিছুটা জল ঢালার চেষ্টা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের। যদি প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়, তবে দাম কমবে পেট্রল ডিজেলের। জানা গিয়েছে, গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (Goods and Services Tax) বা জিএসটি কাউন্সিল (GST Council) শুক্রবার, অর্থাৎ ১৫ই সেপ্টেম্বর লখনউতে বৈঠক করতে চলেছে।
কাউন্সিল জ্বালানির দাম জিএসটি করের (GST taxation) আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা করতে পারে। যদি তা হয়, তাহলে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম (fuel prices) কমে যেতে পারে, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় স্বস্তির কারণ হবে। গত কয়েক বছর ধরে জ্বালানির দামের উর্দ্ধগতিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।
রসগোল্লাকে ইংরেজিতে কী বলে জানেন, মজার প্রশ্নে হোঁচট খাচ্ছেন ৯৯ শতাংশ মানুষ
মৃত্যুর পরের এক ঘন্টায় দেহের সাথে কী কী হয়, না শুনলে বিশ্বাস করবেন না
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) অর্থনীতিবিদদের মতে, জিএসটি -র আওতায় আনা হলে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ৭৫ টাকা হতে পারে। একই সময়ে, জ্বালানির ওপর জিএসটি প্রযোজ্য হলে ডিজেলের দাম ৬৮ টাকা প্রতি লিটার হতে পারে। পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম জিএসটি -র আওতায় আনতে কেন্দ্রের মোট ক্ষতি হবে প্রায় ১লক্ষ কোটি টাকা বা জিডিপির ০.৪%। বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত পণ্যের দামের প্রেক্ষিতে এই হিসেব করা হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের হিসাব অনুসারে প্রতি ব্যারেল ক্রুড প্রাইস ৬০ ডলার ও বিনিময় হার ৭৩ ডলার প্রতি ব্যারেল।
অর্থনীতিবিদদের মতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি অপরিশোধিত তেল পণ্যগুলিকে জিএসটি আওতায় আনার পক্ষে নয়। কারণ পেট্রোলিয়াম পণ্যের উপর বিক্রয় কর/ভ্যাট তাদের রাজস্বের একটি প্রধান উৎস। তাই অপরিশোধিত তেলপণ্যগুলিকে জিএসটির আওতায় আনতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা জিএসটি কাউন্সিলের এই ধরনের কোনও পদক্ষেপের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী নন। তাদের মতে, "রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে, যা ভারতীয় তেলের পণ্যের দাম বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চে রেখেছে।"
দিল্লিতে বর্তমানে পেট্রল এবং ডিজেল যথাক্রমে ১০১.১৯ টাকা ও ৮৮.৬২ টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমানে পেট্রোলের দামের ৩২% সমান কর ধার্য করে, যখন রাজ্য কর বিভিন্ন রাজ্যের হিসেবে পরিবর্তিত হয়।