সংক্ষিপ্ত
- জনতা কারফিউয়ের মাঝে শাহিনবাগে ধরনা
- ধরনামঞ্চের কাছেই এসে পড়ল পেট্রোল বোমা
- জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের কাছেও একই ঘটনা
- সিসিটিভিতে ২ ব্যক্তিতে বাইকে করে আসতে দেখা যায়
গোটা বিশ্বে মারণ করোনা ভাইরাসের বলি হয়েছেন ১২ হাজারের বেশি মানুষ। ১৯০টিরও বেশি দেশে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত এই ভাইরাসে। করোনা সংক্রমণে কাঁপছে ভারতও। দিনে দিনে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম জমায়েত এড়িয়ে চলার কথা বলা হচ্ছে। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে করোনা মোকাবিলায় রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জনতা কারফিউয়ের ডাক দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে গোটা ভারতেই আজ প্রায় বনধের মেজাজ। শুনশান দেশের বড়বড় মহানগরীর সব রাজপথ। নামেনি বাস। পথে দেখা নেই লোকজনের। গোটা দেশ কাপঁছে করোনা আতঙ্কে। তবে এরমধ্যেও চিত্তটা বদলায়নি দিল্লির শাহিন বাগে। গত ডিসেম্বর থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন রাজধানী দিল্লির শাহিনবাগের বাসিন্দারা। যাদের অধিকাংশই আবার মহিলা। রবিবার জনতা কারফিউয়ের দিনও তাঁদের ধরনা চলবে বলে জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেইমত রবিবার সকালে যখন রাজধানীর অন্যান্য প্রান্ত ছিল ফাঁকা তখন আন্দোলনকারীদের কয়েকজন এসেছিলেন শাহিনবাগে। তার তখনি ঘটল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। শাহিনবাগে পুলিশ ব্যারিকেড লক্ষ্য করে উড়ে এল পেট্রোল বোমা।
ব্যারিকেডের পাশ থেকে প্লাস্টিকের একটি বোতলে কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার কুমার গণেশ। সকাল সাড়ে নটা এই ঘটনা ঘটে। সেই সময় ৪ থেকে মাত্র ৫ জন মহিলা উপস্থিত ছিলেন শাহিনবাগে। পুলিশ আধিকারিকের কথা, " ব্যারিকেডেক কাছে বাইক নিয়ে ২ ব্যক্তিকে আসতে দেখা গিয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
শাহিনবাগে পেট্রোল বোমা হামলার কিছুক্ষণ পরে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দেখা গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। শাহিনবাগের ধরনামঞ্চ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এই দুই বাইক আরোহীতেই পেট্রোল বোমা ছুঁড়তে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ নম্বর গেটের সামনে এই হামলা চালান হয়।
আবার নতুন রেকর্ড গড়ল মৃত্যুপুরী ইতালি, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ নিল প্রায় ৮০০ জনের
এবার প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা বাতিল করল রেল, মহারাষ্ট্রে ১০০ ছুঁতে চলল আক্রান্তের সংখ্যা
করোনায় জোড়া মৃত্যু, মুম্বইয়ের প্রৌঢ়ের সঙ্গে হেরে গেলেন বিহারের ৩৮ বছরের যুবকও
জানা যাচ্ছে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় শাহিনবাগে। প্রধানমন্ত্রীর আর্জি মেনে একদল চেয়েছিল জনতা কারফিউ পালন করতে। অন্য গোষ্ঠী তাতে রাজি হয়নি। এই মতান্তরকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় সংঘর্ষ। সেই সময়ই পুলিশ ব্যারিকেড লক্ষ করে এসে পড়ে পেট্রোল বোমা। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। এদিকে করোনা সংক্রমণ আটকাতে আন্দোলনকারীদের শাহিনবাগ থেকে সরাতে ইতিমধ্যে সুপ্রিমকোর্টে একটি মামলা করা হয়েছে। আগামী ২৩ মার্চ সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা সর্বোচ্চ আদালতে।