সংক্ষিপ্ত

অশোক গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের হুমকি শচীন পাইলটের। বিজেপির জমানার দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে সরব কংগ্রেস নেতা।

 

ভোট-মুখী রাজস্থানে নতুন বিভ্রাট কংগ্রেসের সামনে। আবারও অশোক গেহলট বনাম শচীন পাইলটের লড়াই প্রকাশ্যে। এবার অবশ্য মাঝখানে সুতো হিসেবে অবস্থান করছে বিজেপি। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট রবিবার গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শচীন পাইলটের দাবি বিজেপির আমলে রাজস্থানে হওয়া দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ অবিলম্বে দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।

এই বছরের শেষের দিকেই রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন। শাসকদল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। কংগ্রেসের আমলের আগে রাজস্থানে রাজ করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বসুন্ধরা রাজে। বসুন্ধরা রাজের আমলে রাজস্থানে হওয়া দুর্নীতিগুলি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শচীন পাইলট। যাইহোক গেহলট - পাইলটের দ্বন্দ্ব অবশ্য নতুন কোনও ব্যাপার নয় রাজস্থানের রাজনীতিতে। পাঁচ বছর ধরেই গেহলটের বিরুদ্ধে একাধিকবার পাইলটকে যুদ্ধ ঘোষণা করতে দেখেছে রাজস্থানের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছিল যে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও তার প্রভাব পড়েছে।

শচীন পাইলট একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। সেখানেই তিনি দাবি করেছেন, আগের বসুন্ধরা রাজে সরকারের দুর্নীতির বিষয়ে বর্তমান গেহলট সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বিরোধী দলে থাকাকালীন আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ৪৫০০০ কোটি টাকার খনি কেলেঙ্কারির তদন্ত করা হবে। নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এই অবস্থায় রাজস্থানবাসীর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর আগেই রাজে সরকারের আমলে যে দুর্নীতি হয়েছে তার তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে গেহলট সরকারে। তা না হলে কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে। কংগ্রেস যা বলে তাই করে দেখায় - এটাও প্রমাণ করার এটাই সময়। দাবি করেছেন শচীন পাইলট।

এখানেই শেষ নয়, পাইলট জানিয়েছেন আগামী ১১ এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনি শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে দিনব্যাপী অনশন পালন করবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন ১১ এপ্রিল মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলের জন্মবার্ষিকী। তিনি সাইনি সম্প্রদায়ের সদস্য। অশোক গেহলটও এই সম্প্রদায়ের সদস্যের। পাইলট পরোক্ষে সাইনি সম্প্রদায়ের মন জয় করতে চাইছেন বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

২০১৮ সালে ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে রাজস্থানে সরকার গঠন করেছিলেন অশোক গেহলট। যদিও সেই সময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে গেহলট আর পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল- যা এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। বছর দুই আগে শচীন পাইলট বেশ কয়েকজন বিধায়ক নিয়ে দল বদলের প্রস্তুতিও শুরু করেছিলেন। গেহলট-পাইলট মামলাও দায়ের হয়েছিল  রাজস্থান আদালতে। 

আরও পড়ুনঃ

From The India Gate: অনিল অ্যান্টনির দলবদলে কংগ্রেসের থেকেও বেশি চাপে বামেরা

প্রধানমন্ত্রী মোদীর ' একটি বিশেষ সেলফি', বিশেষভাবে সক্ষম এই ব্যক্তির জন্য গর্বিত তিনি

বিহারের রাম নবমীতে দাঙ্গা- দাঙ্গাবাজদের সন্ধানে নেমে উঠে এল নতুন তথ্য