সংক্ষিপ্ত

ভারতের প্রধানবিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি। 

বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন  আইনের  বিধানের (UAPA) সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (upreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলের কয়েকজন প্রাক্তন আমলা। তালিকায় রয়েছে প্রাক্তন আইপিএস, আএএস ও আএফএস-দের নাম। তাদের দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি নোটিশ জারি করেছে। ইউএপিএ ধারা নিয়ে বেশ কয়েকটি তথ্য কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। 

ভারতের প্রধানবিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি। ইউএপিএ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন আধিকারিক হর্ষ মান্দার, ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ, অমিতাভ পাণ্ডে, কমলাকান্ত জয়সওয়াল, হিন্দাল হায়দার তৈয়বজি, প্রদীপ কুমার দেব, বলদেব ভূষণ মহাজন, জুলিও ফ্রান্সিস রিবেইরো, ইশ কুমার, অশোক কুমার শর্মা। 

আবেদনে দাবি করা হয়েছে আইনের অধীন সফল বিচারের সংখ্যা খুবই কম। এই আইনের বলে দেশের নাগরিকদের দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে রাখা খুবই সহজ, অনেকে মুক্তির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে কারাগারে মারাও গেছেন। তাই 43D(5) ধারাটি নিয়ে আলোচনা হওয়া জরুরি। এই ধারা প্রয়োগ করে জামিনে মুক্তি না দিয়ে আটকে রাখা যায়। পাশাপাশি  ভিন্নমত দমন করার কাজেও এই ধারা প্রয়োগ করা হচ্ছে। 

Jammu Kashmir: ভূস্বর্গে দুই ব্যবসায়ীর মৃত্যুর প্রতিবাদ, গৃহবন্দি করা হল মেহবুবা মুফতিকে

Jammu Kashmir: নিহত ২ ব্যবসায়ী কি জঙ্গি সমর্থক, প্রশ্নের মুখে শ্রীনগরের জঙ্গি বিরোধী অভিযান

আবেদনে বলা হচ্ছে এই আইনের বিধানগুলি অত্যাধিক কঠোর, বিশেষত জামিনের ক্ষেত্রে। তবে এটি কোনও প্রতিরোধমূলক আটক আইন নয়। এটিকে অনুচ্ছেদ ২২এর সুরক্ষা ছাড়াই প্রায় একটি প্রতিরোধমূলক আটক আইনের মতই করে তোলা হয়েছে। 

Kulbhushan Jadhav: বিল পাশ পাক সংসদে, মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন কুলভূষণ যাদব

বিশিষ্টদের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই আইনটিকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের কোনও ব্য়াখ্যা দেওয়া হয়নি। কিন্তু সন্ত্রাসবাদী বা সন্ত্রাসসৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। যা একটি স্বেচ্ছাচারী ব্যখ্যা তুলে ধরে। এই আইন যে কোনও ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে। তাই এই আইন বাদ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। 

ইউএপিএ-র অধীনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার গড় হার ২.১৯ শতাংশ তাও উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে। কবে এই আইনের মাধ্যমে দেশের সাধারণ নাগরিকগের মতে একটি খারাপ বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। যা প্রমাণ কের এর গুণমান যথেষ্ট নয়। এই আইনের ধারা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। 

YouTube video player