সংক্ষিপ্ত
কুড়ি হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপায়ন করা হচ্ছে সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রজেক্ট। এই প্রকল্পের অধীনে রয়েছে নতুন সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও সরকারি কার্যালয়
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে বিরোধীদের একহাত নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায় সরকারি অফিসের অবস্থার তুলনায় ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিরোধীরা।
কুড়ি হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপায়ন করা হচ্ছে সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রজেক্ট। এই প্রকল্পের অধীনে রয়েছে নতুন সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও সরকারি কার্যালয়। একই সঙ্গে নর্থব্লক আর সাউথ ব্লকের সংস্কারও করা হবে। টাটা কোম্পানির এই প্রজেক্টের বরাত পেয়েছে। তবে প্রমথ থেকেই বিরোধীরা বিশেষত কংগ্রেস সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টের তীব্র সমালোচনা করে আসছে। এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কার্যালয় উদ্ধোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের চড়া সুরেই নিশানা করেন।
রাতারাতি কোটিপতি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ৯০০ কোটি টাকা দেখে অবাক ২ ছাত্র, বিপাকে পরিবার
ডাসল্ট সিস্টেমের সঙ্গে AIMএর গাঁটছড়া, আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে ভারতকে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আমরা দেখছি কিছু মানুষ সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টকে শেষ করে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তাঁরা ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ব্যক্তিগত এজেন্ডা চালিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা একবারও সরকারি অফিস সম্পর্কে কোনও কথা বলেনি, যেখানে মন্ত্রকের লোকেরা দিনের পর দিন কাজ করে।' নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে উন্নত সুযোগ সুবিধে পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি সরাসরি রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন রাহুল গান্ধীর মত বিরোধী নেতারা যদি মিথ্যা কথা বলেন তাহলে তাদের মিথ্যার মুখোশ সরিয়ে দিতে হবে।
চলতি বছর মে মাসে কংগ্রেস সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি অর্থের অপচয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল। একই সঙ্গে তাদের দাবি ছিল মহামারি মোকাবিলায় অর্থ খরচ না করে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের জন্য অর্থ খরচ করা হচ্ছে। যা নিয়ে রাহুল গান্ধী ও সনিয়া গান্ধী রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। অন্যদিকে সনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের তরফ থেকে চিঠি লিখে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। কিন্তু কেন্দ্রের মোদী সরকার এই প্রকল্পটিকে একটি অপরিহার্য পরিষেবা হিসেবে শ্রেণীবন্ধ করেছিল দ্রুত প্রকল্প রূপায়নের জন্য। লকডাউন সত্ত্বেও নির্মাণ কাজ বন্ধ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কার্যালয় উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ও সম্মান দেওয়ার একটি পন্থা। কারণ দিল্লির কস্তুরবা গান্ধী মার্গ আর আফ্রিকা অ্যাভিনিউতে দুটি কমপ্লেক্সে প্রায় ৭ হাজার প্রতিরক্ষা কর্মী কাজ করতে পারেবেন। ইতিমধ্যেই পুরনো অফিস খালি করার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন এতদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলে তৈরি ছোট ছোট বাড়ি থেকেই যাবতীয় কাজকর্ম সামলাত। অধিকাংশ ঘরই সেইসময় ঘোঁড়া আর আস্তাবল হিসেবে ব্যবহার করা হত। এই ঘটনা তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরেই অত্যান্ত কষ্ট দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নতুন অফিস একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেও দাবি করেছেন তিনি।