সংক্ষিপ্ত
৮ তম কনফারেন্স অফ দ্যা পার্টিস (COP), COP28 নামে পরিচিত। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দুবাইতে বসেছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনার আসর।
শুক্রবার দুবাইতে COP28 জলবায়ু সম্মেলনে বক্তৃতা করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৮ সালে ভারতে COP33 সামিট করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'ভারত জলবায়ু পরিবর্তন প্রক্রিয়ার জন্য রাষ্ট্রসংঘের ফ্রেমওয়ার্কের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই কারণে এই পর্যায় থেকে আমি ২০২৮ সালে ভারতে COP33 শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব করছি।'
জলবায়ু ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন এর ২৮ তম কনফারেন্স অফ দ্যা পার্টিস (COP), COP28 নামে পরিচিত। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দুবাইতে বসেছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনার আসর। ৩০ নভেম্বর সম্মেলন শুরু হয়েছে। আলোচনা চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দুবাইয়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিশেষ সম্মান প্রদান করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে বিশেষ বক্তৃতা দেওয়ার সম্মান দেওয়া হয়েছে। এই মঞ্চ থেকেই আগামী দিনে জলবায়ু সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সম্প্রতি জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সফল আয়োজন করেছিল এই ভারত। সম্মেলনে একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতি ছিল প্রশংসনীয়। এই সম্মেলনের সফল আয়োজনের পর এবার ভারত জলবায়ু নিয়ে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব এখনও গ্রহণ করা হয়নি বলেও সূত্রের খবর।
এখন পর্যন্ত গ্লোবাল সাউথ থেকে এই চুক্তি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু আলোচনা COP28 একটি ইতিবাচক সুর নিয়ে শুরু হয়েছিল। দেশগুলি এর ক্ষতির তহবিল পরিচালনার বিষয়ে প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছয়। সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরপরই, পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব 'X'-এ পোস্ট করেছেন, 'COP28-এর ইতিবাচক লক্ষণ UAE-তে প্রথম দিনে গতি পাচ্ছে। COP28-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতি তহবিল পরিচালনার বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড চালু করার সিদ্ধান্তকে ভারত দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।গ্লোবাল সাউথ দীর্ঘদিন ধরে বন্যা, খরা এবং তাপ তরঙ্গ সহ দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত তহবিলের অভাব বোধ করে চলেছে। গ্লোবাল সাউথ বলতে সেসব দেশকে বোঝায় যেগুলোকে প্রায়ই উন্নয়নশীল, স্বল্পোন্নত বা অনুন্নত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। উন্নয়নশীল দেশগুলিও দাবি করেছে যে এই দেশগুলিকে সাহায্য করা ধনী দেশগুলির দায়িত্ব, কারণ ঐতিহাসিকভাবে এই দেশগুলি পৃথিবীর উষ্ণতা কার্বন নির্গমনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।