সংক্ষিপ্ত
আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে চলমান বিবাদের মধ্যেই দেশের তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে চলমান বিবাদের মধ্যেই দেশের তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তিন সেনা প্রধান আদালা আলাদাভাবে কথা বলবেন বলে সূত্রের খবর। তিনটি প্রতিরক্ষ পরিষেবা ইতিমধ্যে নতুন সামরিক প্রকল্পের অধীনে অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আগামী মাস থেকেই আবেদনকারীরা অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে পারবে। যার অর্থ আগামী দিনে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমেই সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সামরিক বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি বলেছেন, যে যুবকরা অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার সাথে জড়িত তারা তিনটি পরিষেবায় যোগদান করতে পারবে না কারণ কাউকে নথিভুক্ত করার আগে একটি পুলিশ যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। কাজে যোগদান করার আগে মুচেলেখা দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে তারা হিংসার ঘটনায় অংশ গ্রহণ করেনি। এটি নিশ্চিত হওয়ার পরই অগ্নিবীরের কাজ পাবে সংশ্লিষ্টরা। তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিনে অগ্নিবীরদের জন্য যে সমর্থনমূলক ব্যবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে তা বিক্ষোভ ও সহিংসতার কারণে নয়। কেন্দ্রীয় সরকার বা দেশের সেনা বাহিনী পিছিয়ে আসতে নারাজ বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে এখনও উত্তাল দেশ। বিস্তীর্ণ এলাকা অগ্নিগর্ভ। সবথেকে বেশি বিক্ষোভ হচ্ছে বিহারে। এই অবস্থায় প্রকল্পের কথা ঘোষণার প্রায় সাত দিন পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, 'কিছু সিদ্ধান্ত প্রথমে অন্যায্য মনে হতে পারে। কিন্তু পরে সেই প্রকল্পই দেশ গঠনে সাহায্য করবে।' কর্নাটক সফরে গিয়েছিলেন মোদী। বেঙ্গালুরুর একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অগ্নিপথ প্রকল্পের নাম উচ্চারণ না করেই এই মন্তব্য করেন।
যদিও বিরোধীরা প্রথম থেকেই অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তারা বলেছেন মোদী- সরকারের ভুলগুলির মধ্যে নবতম সংযোজন হল অগ্নিপথ প্রকল্প। এই প্রকল্প আরও পরীক্ষা নিরীক্ষ করে বাস্তবায়িত করার কথাও বলেছে বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের চাপে পড়ে আগেই কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে কিছু সংশোধন করেছে। কিন্তু তারপরেও ক্ষোভের আগুন পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি।