সংক্ষিপ্ত
দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস। এদিন নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বিশেষ ঘোষণাও করলেন প্রধানমন্ত্রী।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপে তৈরি হচ্ছে ন্যাশনাল মেমোরিয়াল। সোমবার নেতাজির জন্মদিবসে সেই মেমোরিয়ালের মডেল উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ন্যাশনাল মেমোরিয়ালে থাকছে নেতাজিকে নিয়ে একটি বিশেষ সংগ্রহশালা। এছাড়া থাকছে কেবল কার রোপওয়ে, লেজার অ্যান্ড সাউন্ড শো, গাইডেড হেরিটেজ ট্রেইল যার মাধ্যমে ঐতিহাসিক ভবনগুলি ঘুরিয়ে দেখানো হবে। বাচ্চাদের জন্য থিম-বেসড বিনোদন উদ্যানও থাকছে। একইসঙ্গে থাকবে রেস্ট্রো লাউঞ্জ। সোমবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে 'পরাক্রম দিবস'। নেতাজির জন্মদিবস উপলক্ষে বিশেষভাবে পালিত হয় দিনটি। দেশজুড়ে নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নেতাজি দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। দেশের জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। সে কথা স্মরণ করেই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কলকাতা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, নয়াদিল্লি, মণিপুর, কটক-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে।
কটকে জন্ম ও বাংলায় শিকড় থাকলেও, নেতাজি ছিলেন সারা ভারতের। উত্তর-পূর্ব ভারত, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিতেও বিশেষ শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয় নেতাজির জন্মদিবস। দেশজুড়ে নেতাজির ভাবধারা, আদর্শ প্রচার করার জন্য তাঁর জন্মদিবসে প্রতি বছরই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নেতাজির আদর্শ প্রচার, দেশপ্রেমের ভাবধারা জাগিয়ে তোলার জন্য 'পরাক্রম দিবস'-কে বেছে নেওয়া হয়।
১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটকে জন্ম নেতাজির। তাঁর বাবা জানকীনাথ বসু ও মা প্রভাবতী দেবী। ছোটবেলাতেই স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন নেতাজি। তিনি দেশের সেবা করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। দেশকে ব্রিটিশদের কবলমুক্ত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন নেতাজি। তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজকে নেতৃত্ব দিয়ে ব্রিটিশদের দেশ থেকে তাড়ানোর উদ্যোগ নেন। নিজের লক্ষ্যে অনেকটা সফলও হন নেতাজি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান, জার্মানির সাহায্য নিয়ে ভারতকে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত করার লক্ষ্যে এগোতে থাকেন নেতাজি। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি ও জাপানের হারের ফলে নেতাজির পরিকল্পনা ধাক্কা খায়। এরপর তাঁর কী হয়, সেটা আজও রহস্য।
১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইহোকুতে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয় বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু অনেকেই সেই বিমান দুর্ঘটনার কথা বিশ্বাস করেন না। অনেকে দাবি করেন, সেদিন তাইহোকুতে বিমান দুর্ঘটনাই ঘটেনি। ফলে রহস্যের সমাধান হয়নি।
আরও পড়ুন-
‘নেতাজি’, ১২৬ তম জন্মবার্ষিকীর আগে ফিরে দেখা তাঁর জীবন, ‘অন্তর্ধান’-এ আজও জিজ্ঞাসাচিহ্ন
ভিডিও জুড়ে রয়েছে মোদীর নানান কর্মসূচী, দেখে নিন পরাক্রম দিবসে নেতাজির প্রতি মোদীর শ্রদ্ধার্ঘ্য
নেতাজি সুভাষ নামাঙ্কিত দ্বীপে এবার ন্যাশনাল মেমোরিয়াল, মডেল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী