সংক্ষিপ্ত

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ক্রমাগত নিশানা করে যাচ্ছেন। তবে তাঁর বিষয় অন্য। তিনি হিন্দু ধর্ম নিয়েই আক্রমণ করছেন। কিন্তু জাভেদ আখতার ও ইমরান খানের টুইটগুলির মধ্যে বেশ কিছু মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। বর্তমানে যা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাঞ্জাবে নিরাপত্তার ঘাটতি (PM Modi's security breach)বর্তমানে দেশে একটি আলোচনার বিষয়। কেউ পক্ষে কেউ আবার বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন। পিছিয়ে নেই গীতিকার জাভেদ আখতার (Javed Akhtar)। মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে আবারও লাইমলাইটে এসেছেন তিনি। তবে তাঁর সঙ্গে একটি মিল রয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)। যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ক্রমাগত নিশানা করে যাচ্ছেন। তবে তাঁর বিষয় অন্য। তিনি হিন্দু ধর্ম নিয়েই আক্রমণ করছেন। কিন্তু জাভেদ আখতার ও ইমরান খানের টুইটগুলির মধ্যে বেশ কিছু মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। বর্তমানে যা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

জাভেদআখতারের টুইট- সম্প্রতি জাভেদ আখতার একটি টুইট করেছেন। যার মুখ্য বিষয় হল পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তা ত্রুটি। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেছেন। অনেকে তার ওপর হামলা চালাবে এজাতীয় একটি অস্পষ্ট ও কাল্পনিক বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। কিন্তু তিনি দেহরক্ষী পরিবেষ্টিত হয়ে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে বসেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ২০ কোটি ভারতীয় গণহত্যা নিয়ে একটিও শব্দ উচ্চারণ করেননি। কেন তিনি তা করেননি তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন জাভেদ আখতার। 

ইমরান খানের টুইট- ইমরান খান সম্প্রতি টুইটে হিন্দু ধর্মকে ইস্যু করে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি লিখেছেন, ভারতের সমস্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির দ্বারা লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে ভারতে ২০০ মিলিয়ন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে গণহত্যা করার জন্য ডিসেম্বরে চরমপন্থী হিন্দুত্ব সম্মেলনের আহ্বানের সময়ও মোদী সরকার নীরব ছিল। বিজেপি সরকার এই সম্মেলনকে সমর্থন করে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও যাওয়ার পথ তৈরি করছেন ইমরান। 

সম্প্রতি হরিদ্বারে একটি ধর্মসংদরে আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে  সাধু সন্ন্যাসীদের হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে একাধিক বার্তা দিতে শোনা যায়। যার মধ্যে মুসলিম ধর্মকে নিশানা করে একটি বক্তৃতাও দেওয়া হয়েছিল। যা তিনি ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই বিষয় নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন ইমরান খান। অন্যদিকে জাভেদ আখতারের লক্ষ্য ছিল পঞ্জাবে মোদীর নিরাপত্তার ত্রুটি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা। যদিও আগে ইমরান খান টুইট করেছেন। তারপর টুইট করেছিলেন জাভেদ আখতারকিন্তু উভয়েরই নিশানায় কোনও না কোনও ভাবে ছিলেন নরেন্দ্র মোদী।জাভেদ আখতার ও ইমরান খানের টুইটের এই মিল শেয়ার করেছেন এক সংবাদ উপস্থাপক। সেটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।