সংক্ষিপ্ত
নবরূপে সেজে ওঠা জালিয়ানওয়ালাবাগ স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-ও।
পঞ্জাবের অমৃতসরে, নবরূপে সেজে উঠেছে জালিয়ানওয়ালাবাগ স্মৃতিসৌধ। শনিবার, সংস্কারকৃত এই কমপ্লেক্সটি দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। একইভাবে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, 'জালিয়ানওয়ালাবাগ হল সেই জায়গা, যা সর্দার উধম সিং এবং ভগত সিংয়ের মতো অসংখ্য বিপ্লবীদের দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করার সাহস জুগিয়েছিল।' তিনি আরও জানান, শুধু জালিয়ানওয়ালাবাগ কমপ্লেক্সের সংস্কার করেই থেকে যাবে না তাঁর সরকার। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কিত অন্যান্য স্মৃতিসৌধের সংস্কারের কাজও করা হবে। ইতিমধ্য়েই উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদে চন্দ্রশেখর আজাদকে উৎসর্গ করে, ভারতের প্রথম ইন্টাব়্যাক্টিভ গ্যালারি নির্মিত হচ্ছে। কলকাতায় সংস্কার করা হচ্ছে বিপ্লবী ভারত মিউজিয়ামের।
"
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, ভারতের আদিবাসী জনগোষ্ঠীই স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু, আজাদ হিন্দ ফৌজের মতো তাদের আত্মত্যাগের কথাও ইতিহাসের বইয়ে যতটা থাকা উচিত ছিল, ততটা পরিমাণে উল্লেখ করা হয়নি। তাই দেশের ৯টি রাজ্যে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান তুলে ধরার জন্য জাদুঘর তৈরির কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার, জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অন্যদিকে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বলেন, জালিয়ানওয়ালাবাগ স্মৃতিসৌধ অবশ্যই ভবিষ্যত প্রজন্মকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ করার অধিকার স্মরণ করিয়ে দেবে। ভারতে ব্রিটিশদের এই গণহত্যার অন্যায়ের প্রতিশোধ নিয়েছিলেন শহিদ উধম সিং। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন, ভারত সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়কে কাজে লাগিয়ে আমেরিকা থেকে শহিদ উধম সিংয়ের পিস্তল এবং ব্যক্তিগত ডায়েরির মতো ব্যক্তিগত ব্যবহার্য দ্রব্য ফিরিয়ে আনার জন্য। এই বিষয়ে তিনি ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকেও চিঠি দিয়েছেন বলে জানান পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।