সংক্ষিপ্ত
২০২৪-এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বড় মহারণ ছিল উত্তরপ্রদেশ। সেই রাজ্যে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি-এর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সামনে আবার আরও কিছু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর এই সব মিটলেই ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচন।
২০২৪-এর আগে ভোট ময়দানে রণকৌশল কী হতে চলেছে? দলের সম্প্রসারণ বা কোন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে? এমনই কিছু প্রশ্নকে সামনে রেখে শনিবার থেকে হায়দরাবাদে শুরু হচ্ছে বিজেপি-র ২ দিনের এক্সিকিউটিভ বৈঠক। যেখানে যোগ দিতে হায়দরাবাদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ৫ বছর পর এই প্রথম বিজেপি রাজধানী দিল্লির বাইরে কোনও শহরে এই ধরনের বৈঠক করছে। যদিও দক্ষিণ ভারতে বিজেপি এই নিয়ে তৃতীয়বার এক্সিকিউটিভ বৈঠক করছে। হায়দরাবাদে এই বৈঠক করার পিছনে বিজেপি-র আরও এক কৌশল কাজ করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেটা হল তেলেঙ্গানায় ক্ষমতা দখল। কারণ এই বৈঠক শুরুর আগে বিজেপি তাদের নেতাদের ১১৯টি বিধানসভা ক্ষেত্রে পাঠিয়েছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে এবং তাঁদের কাছ থেকে ফিডব্যাক সংগ্রহ করতে। মনে করা হচ্ছে ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি বক্তব্য পেশ করতে পারেন এই বৈঠকে, তা এই সব বিধানক্ষেত্রে জয়ান্ট স্ক্রিনে সম্প্রচার করা হতে পারে।
মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। শিবসেনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ফেলে দিয়েছে তারা। এমনকী উত্তর-পূর্ব ভারতও বিজেপি-র কব্জায়। এই মুহূর্তে বিজেপি-র নিশানায় তেলেঙ্গানা বলে সূত্রের খবর। একটা সময় তেলেঙ্গানার রূপকার ও বর্তমান মুখ্যয়মন্ত্রী কেসিআর-এর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় ছিল বিজেপি-র। কিন্তু, কেন্দ্রের কাছ থেকে স্পেশাল প্যাকেজ না আসায় কেসিআর বিজেপি-র থেকে নিজের দূরত্ব বাড়াতে থাকেন। কেসিআর-এর আচরণ বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বকে রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে বলেও মনে করছে গেরুয়া শিবির। তাই হায়দরবাদে বিজেপি-র এক্সিকিউটিভ বৈঠকের পিছনে কোনও সুগভীর কৌশল কাজ করছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
হায়দরাবাদের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এই বৈঠকের আসর বসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানেই বৈঠকে যোগ দেবেন। বেগমপেট এয়ারপোর্ট পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি জনসভায় যোগ দেবেন বলে খবর। এক্সিকিউটিভ বৈঠক শুরু হবে শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায়। শেষ হবে রবিবার সন্ধে সাড়ে ছটায়।