সংক্ষিপ্ত

পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী টানেলে তৈরি শিল্পকর্ম দেখতে দেখতে হাঁটছেন। এরপর কিছু সময় পরেই রাস্তার পাশে আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

রবিবার এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখল গোটা ভারত। এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী এমন করেছেন বলে মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিট করিডোর এবং প্রগতি ময়দানের ছয়টি আন্ডারপাসের উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল প্রগতি ময়দানে তৈরি করা প্রদর্শনী ও সম্মেলন কেন্দ্রে সহজ প্রবেশাধিকার দেওয়া। এদিকে, সেখান থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কাছে পড়ে থাকা আবর্জনা নিজের হাতে তুলতে দেখা যায়।

পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী টানেলে তৈরি শিল্পকর্ম দেখতে দেখতে হাঁটছেন। এরপর কিছু সময় পরেই রাস্তার পাশে আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। নিজেই তা কুড়িয়ে নেন তিনি। তা হাতে নিয়েই এগিয়ে যান, আবার কিছুদূরে একটি খালি জলের বোতল পড়ে থাকতে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। সেটিও নিজের হাতে কুড়িয়ে নেন মোদী। পরে এই দুটি আবর্জনাই ডাস্টবিনে ফেলে দেন। 

প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই ভিডিও নিয়ে মানুষ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। একজন নেটিজেন লিখেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্টাইলই দেখাচ্ছে যে তিনি পরিচ্ছন্নতার প্রতি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পাশাপাশি তারা জনগণকে বার্তাও দিচ্ছেন। স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রধানমন্ত্রী মোদীর অন্যতম প্রধান প্রচার ইস্যু। এর মাধ্যমে তিনি দেশবাসীকে পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন করেন।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ-ইনচার্জ অমিত মালব্যও মাইক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইটে এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং বলেছেন, পরিচ্ছন্নতার প্রতিশ্রুতিই শুধু নয়, কাজেও করে দেখান প্রধানমন্ত্রী। এটা তাঁর বিশ্বাস, আদর্শ। এমনকি আইটিপিও টানেলের উদ্বোধনের সময়ও তিনি আবর্জনা কুড়িয়ে মানুষের চোখ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। 

এই দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত টানেলটি ভৈরন মার্গের একটি বিকল্প রুট হিসাবে কাজ করবে। টানেলের পাশাপাশি, ছয়টি আন্ডারপাস থাকবে - চারটি মথুরা রোডে, একটি ভৈরন মার্গে এবং একটি রিং রোড এবং ভৈরন মার্গের সংযোগস্থলে।

উল্লেখ্য,  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিট করিডোর এবং প্রগতি ময়দানের ছয়টি আন্ডারপাসের উদ্বোধন করেছেন। এটি ৯২০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। এই টানেল ও ছয়টি আন্ডারপাস দিয়ে এক লাখের বেশি যাত্রীর যাতায়াত সহজ হবে। আইটিওতে জ্যামও শেষ হবে।