সংক্ষিপ্ত
দীর্ঘদিন থেকেই এই কারাবার চালাচ্ছিল এক গ্যাং। তাদের খোঁজে দীর্ঘদিন থেকে চলছিল তল্লাশি অভিযান। অবশেষে এল সাফল্য। এখানে বেশ কিছু হোটেলে বিদেশী মেয়েদের দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হত বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ফের দিল্লিতে হাই-প্রোফাইল সেক্স ব়্যাকেটের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ(high-profile sex racket in Delh)। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির(Delhi) পাণ্ডব নগরের কাছে। সূত্রের খবর, সোমবার একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে তিন বিদেশিনী সহ মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন উজবেকি মহিলা, একজন হোটেল কেয়ারটেকার সহ দুজন দালালও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রবীণ কুমার, কেতন কানসাল এবং হোটেলের কেয়ারটেকার সুনীল কুমার। যিনি আবার উত্তরপ্রদেশের সেকেন্দ্রাবাদের বাসিন্দা। পুলিশ হোটেল থেকে কাগজপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে হোটেলটি সিল করে দিয়েছে বলে খবর। হোটেলের মালিক অর্জুন থাকেন বিহারের চম্পারণে। তার খোঁজে বিহারে রওনা হয়েছে একটি দল। জোরকদমে চলছে তদন্ত। সূত্রের খবর, এর আগেও পাণ্ডব নগরের শশী গার্ডেনের ওয়ো হোটেলে দেহ ব্যবসার খবর পাওয়া গিয়েছে।
দীর্ঘদিন থেকেই এই কারাবার চালাচ্ছিল এক গ্যাং। তাদের খোঁজে দীর্ঘদিন থেকে চলছিল তল্লাশি অভিযান। অবশেষে এল সাফল্য। এখানে বেশ কিছু হোটেলে বিদেশী মেয়েদের দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এবারে এক পুলিশ কনস্টেবলকে ভুয়ো খদ্দের বানিয়ে হোটেলে পাঠায় তদন্তকারী দলের আধিকারিকেরা। তাঁর হাত ধরেই অবশেষে আসে সাফল্য। সূত্রের খবর, খদ্দেরবেশী কনস্টেবেলের সঙ্গে দর কষাকষির পর দালালেরা বেশ কিছু মেয়েদের তার হাতে তুলে দেয়। পরে হোটেলের দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন ঘর থেকে তিন উজবেকিস্তানী মহিলা ও দুই দালাল প্রবীণ কুমার ও কানসালকে গ্রেপ্তার করা হয়।এই ঘটনায় ব্যাপ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। তাদের কাছ থেকে কনস্টেবলের দেওয়া টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। হোটেলের রেজিস্টারও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে হোটেলের কেয়ার টেকার সুনীল কুমারকে।
আরও পড়ুন- ‘গ্রেফতার করলে দোষী হয় না, আদালতে প্রমান করতে হয়’, অভিষেক ইস্যুতে ফের সরব কুণাল
তাদের সূত্র ধরেই এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসাথে হোটেলে কত দিন ধরে দেহ ব্যবসা চলছিল তাও জানার চেষ্টা চলছে। এধিকে এর আগেও গত ৬ মার্চ দিল্লির শাহদরা জেলার সীমাপুরীতে একটি বাড়িতে তোলাবাজির অভিযোগ পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। সেখান থেকে এক যুবক ও চার মহিলাকে আটক করেছ পুলিশ। সেখানেও দীর্ঘদিন থেকে দেহ ব্যবসা চলছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেও রীতিমতো সাড়া পড়ে যায় রাজধানীতে।