সংক্ষিপ্ত
ইন্দোরের এক সবজি ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে টাকা সরানোর অপরাধে , গাড়ির সঙ্গে পা বেঁধে মাটিতে ফেলে নির্যাতন করা হয় দুই বালককে ।ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই মূল নির্যাতনকারীর খোঁজে পুলিশ
কোথায় আছে "চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা ", কিন্তু চোর ধরার পর সেই চোরেদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগে জেল খাটতে শুনেছেন কখনো কাউকে ? তাহলে শুনুন সম্প্রতি ইন্দোরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটির কথা।ইন্দোরে গাড়িতে নগদ টাকা রেখে সবজি বিক্রি করতে যান এক ব্যবসায়ী। এসে দেখেন ১৩ ও ১৭ বছরের দুই বালক তার গাড়ি থেকে টাকা সরাচ্ছেন। এই ঘটনা দেখে তিনি যান বেজায় চোটে। তারপর ওই দুই বালকের পা বেঁধে তিনি পাগুলোকে আটকে দেন গাড়ির সঙ্গে। তারপর ওই দুই বালককে গাড়ি চালিয়ে ওই গাড়ির সঙ্গে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বেশ খানিকটা দূর। এই ঘটনার ভিডিও করেন প্রত্যক্ষদর্শী কিছু মানুষ।
তারপর সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছাড়লেই। তোলপাড় পরে যায় গোটা নেট দুনিয়ায়।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। তারপর থেকেই ওই নির্যাতনকারীর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত পুলিশের তৎপরতায় গ্রেপ্তার হয়েছে ওই ঘটনায় লিপ্ত তিন যুবক।ওই তিন যুবকের অপরাধ এখনো পর্যন্ত প্রমান না হলেও। পুলিশ সন্দেহের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে তাদের। তবে নির্যাতনের এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তের সন্ধান এখনও পাননি পুলিশ। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি পোস্টার পর রাজেন্দ্র নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজয় কুমার মিশ্র বলেন, "একটি গাড়ি থেকে টাকা চুরির অভিযোগে , ১৩ ও ১৭ বছর বয়সী দুই ছেলের উপর নির্যাতন করার জন্য এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। "
তবে প্রধান অভিযুক্ত খান্ডওয়া জেলার ওই সবজি ব্যবসায়ী এখন পলাতক। তার বাড়ি তালাবন্ধ। এমনকি পরিবারের সদস্যরাও নিখোঁজ। পুলিশ ওই অঞ্চলে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েও প্রধান অভিযুক্তকে এখনও ধরতে পারেননি। তবে পুলিশের দাবি খুব শীঘ্রই ওই নির্যাতনকারী ধরা পড়বে পুলিশের জালে।
পুলিশ সূত্রে খবর , শনিবার একটি ছোট মালবাহী গাড়িতে পেঁয়াজের বস্তা নিয়ে ওই ব্যবসায়ী যান দেবী অহিল্যাবাই হোলকার নামক এক সবজি বাজারে। পেঁয়াজ বিক্রির উদেশ্যেই সেদিন সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। গাড়িতে নগদ কিছু টাকা রেখে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রিতে মত্ত থাকায়, বাজারের বাইরে রাখা গাড়ির কথা প্রায় ভুলেই গেছিলেন তিনি। এরপর ব্যবসা সূত্রেই কিছু নগদ টাকার প্রয়োজন পড়লে তিনি গাড়িতে যান ওই টাকা আনতে। গিয়ে এইসব দেখেই তিনি যান বেজায় চোটে। ভাইরাল হাওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। ছেলেদের গাড়িতে দড়ি দিয়ে বেঁধে তিনি প্রচন্ড অপমানজনক কথা বলছেন। চুরি যাওয়া নগদ নিয়ে প্রশ্নও করছেন দুজনকে। সদুত্তর না পেয়ে মারধরও করছেন তিনি। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই চলছে গালিগালাজ। কিন্তু গাড়ির সঙ্গে পা বেঁধে মাটির মধ্যে ফেলে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাবার সময় বেশ কিছু প্রত্যক্ষদর্শী এগিয়ে আসেন তাকে থামাতে। চিৎকার করে গাড়ি থামিয়ে তারা উদ্ধার করে ওই দুই বালককে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এই ঘটনা নজির গড়েছে ইন্দোরে। এখন চোরের উপর নির্যাতন চালানোর শাস্তিস্বরূপ তার কি হয় সেটাই এখন দেখার।