সংক্ষিপ্ত

বিশেষজ্ঞদের কথায় এখনও দেশের মানুষকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সামনেই শীতকাল। শীতের মরশুমে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। 

দীপাবলির পর দেখতে দেখতে কেটে গেছে তিন সপ্তাহ। এখনও পর্যন্ত সেভাবা বাড়েনি করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত নিন্মগামী। এই অবস্থায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন চিকিৎসক আর বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এরই মাঝে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি ভারতকে ভয়ঙ্কর করোনভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গের (Third Wave of Covid 19) মুখোমুখী হতে হবে না? বিশেষজ্ঞদের কথায় সেই সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত অনেকটাই কম। কারণ কারণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের (Second Wave of Covid 19)সময় জনসংখ্যার একটি বড় অংশই আক্রান্ত হয়েছিল। পাশাপাশি টিকাকর্মসূচিও (Vaccination) এখনও অনেকটাই গতি পেয়েছে। তৃতীয় কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ক্রমাগত প্রচারের কারণে দেশের অধিকাংশ মানুষই বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে সচেতন রয়েছে। 

বিশেষজ্ঞদের কথায় এখনও দেশের মানুষকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সামনেই শীতকাল। শীতের মরশুমে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। দ্বিতীয় তরঙ্গের ভয়াবহ রূপের সূচনা কিন্তু শীতকাল থেকেই শুরু হয়েছিল বলেও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের কথায় ডিসেম্বরের থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। তবে  টিকাকর্মসূচি অব্যাহত থাকলে তা কখনই দ্বিতীয় তরঙ্গের মত পরিস্থিতি তৈরি করবে না। 

Bulgaria Accident: চলন্ত বাসে আগুন, বুলগেরিয়া পুড়ে মৃত্যু মেসিডোনিয়ার ৪৫ জন যাত্রীর

অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা ও জীববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপত জানিয়েছন, গোটা দেশে একই রকম পরিস্থিতি নাওয় তৈরি হতে পারে। তবে সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম এমন করোনাভাইরাসের স্ট্রেন যদি এই দেশে প্রবেশ করে তাহলে গোটা পরিস্থিতি জটিল হয়ে যেতে পারে। যদি তা না হয় তাহলে পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। তিনি আরও বলেছেন দুর্গাপুজো দীপাবলিরসহ উৎসবের মরসুমে প্রবল ভিড়ের কারণেই বিশেষজ্ঞরা অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের মধ্যেই তৃতীয় তরঙ্গের পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু তা যখন হয়নি তখন এই দেশ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলেও মনে করছেন তিনি। 

Mysterious Man: ৫০ বছর পরেও রহস্যময় নাম ডিবি কুপার, মার্কিন ইতিহাসে অমীমাংসিত প্লেন হাইজ্যাককাণ্ড

অপর এক বিশেষজ্ঞের কথায় এটি পরিষ্কার ইঙ্গিত দেয় দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় দেশে অধিকাংশ মানুষই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই তারপর থেকেই সংক্রমণের হার অনেকটাই কম। পাশাপাশি টিকা অভিযানের কারণেই করোনা সংক্রমণ সেই ভয়াবহ জায়গায় যাচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন টিকা নেওয়ার পর আক্রান্ত হলেও তাদের পরিস্থিতি জটিল হয়নি। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে আক্রান্তরা সক্ষম। 

Taj Mahal: একালের শাহজাহান, স্ত্রীকে ভালোবেসে তৈরি করলেন ছোট্ট তাজমহল, দেখুন ছবিতে

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছে,  রোগ সেরে যাওয়ার পরে টিকা নিয়েছে- সেই ব্যক্তিদের শরীরে হাইব্রিড ইমিউনিটি তৈরি হয়। যা শুধু টিকা থেকে প্রাপ্ত ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি। টিকা থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডির তুলনায় এটি অনেক করোনা সংক্রমণের পর যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তাও অনেক শক্তিশালী বলেও বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন। সিএসআর ও ইন্সটিটিউট অব জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির ডিরেক্টর আগরওয়াল জানিয়েছেন সেরোসার্ভের রিপোর্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে এই দেশের জনসংখ্যার বেশিরভাগেরই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

অন্যদিকে ইমিউনোলজিস্ট বিনিতা বাল জানিয়েছেন এটি প্রমাণিত যে সম্পূর্ণ টিকা নেওয়ার পাসাপাশি করোনাভাইরাসের আক্রান্তের হারও রোগের তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়াকে তিনি ভালো লক্ষণ বলে জানিয়েছেন। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে দ্বিতীয় তরঙ্গের ব্যপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। তবে টিকা কর্মসূচি চলায় পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের কথায় কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বইয়ের মত মেট্রোসিটিগুলিতে এখনও Rএর মান ১ রয়েছে। তাতে স্পষ্ট শহর অঞ্চলে এখনও ঝুঁকি রয়েছে। 

YouTube video player