সংক্ষিপ্ত

প্রশান্ত কিশোর আরও জানিয়েছেন, বাংলার নির্বাচনের প্রায় পাঁচ মাস পর থেকে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু সেটি ভেস্তে গেছে। তবে বিজেপিকে হারাতে এখনও জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। সেই সময় তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন। 

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে (2024 Genetral Election) বিজেপিকে (BJP) হারানো সম্ভব। তবে তার জন্য একটি শক্তিশালী ফ্রন্টের প্রয়োজন। সেই শক্তিশালী ফ্রন্ট তিনি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সোমবার জাতীয় স্তরের একটি সংবাদ চ্যালেনকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এমনটাই জানিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। তিনি আরও বলেছেন ২০২৪ এর সাধারণ নির্বাচনের আগে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট (Assembly Election 2022) একটি সেমিফাইনাল। এখান থেকেই কিছুটা আঁচ করা যেতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি। তবে তিনি বলেছেন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিতলও ২০২৪ সালে নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে পরাস্ত করা সম্ভব। 

সংবাদ চ্যানেল এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, বিহার, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, তেলাঙ্গনা, অন্ধ্র, তামিলনাড়ু, ও কেরলে অ-বিজেপি দলগুলি যদি ভালো ফল করতে পারে তাহলে খেলা ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে অবিজেপি জোটকে আরও একটির মত আসন পেতে হবে। তাহলেই বিরোধীরা ২৫০-২৬০তে পৌঁছাতে  পারবে। 

প্রশান্ত কিশোর আরও বলেছেন, বিজেপি হিন্দুত্ব, অতি জাতীয়তাবাদ ও কল্যাণের তত্ত্বগুলিকে একটি ভায়বহ আখ্যানে পরিণত করেছে। সেই কারণে ভোট যুদ্ধে টিতে থাকতে গেলে অবিজেপি দলগুলির এর যেকোনও দুটিকে হাতিয়ার করে লড়াই শুরু করতে হবে। তবে সবার আগে অবিজেপি শক্তিগুলিকে একত্রিত হতে হবে। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মহাজোট'এর মত। অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচেন ২০০টিরও বেশি আসনে বিজেপির সঙ্গে সরাসরি লড়াই হবে কংগ্রেসের। যারমধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ আসনেই গত দুটি লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। 

প্রশান্ত কিশোর আরও জানিয়েছেন, বাংলার নির্বাচনের প্রায় পাঁচ মাস পর থেকে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু সেটি ভেস্তে গেছে। তবে বিজেপিকে হারাতে এখনও জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। সেই সময় তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন। কংগ্রেসকে প্রচুর সময় দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। প্রায় দুবছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু দুই পক্ষ একে অপরের সঙ্গে কাজ করার জন্য যে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রয়োজন হয় তা তাদের মধ্যে ছিল না। 

২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচেন তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা দুই পক্ষের কাছেই ভালো ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি তাঁর আনুগত্য কতটা থকবে তা একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই সব কারণই তাঁর কংগ্রেসে যোগদানে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবিত করার জন্যই তিনি সেই দলে যোগ দিতে চেয়েছিল। তাঁর কংগ্রেসে যোগদান কোনও কোনও নির্বাচনী বিষয় ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন একটি প্রচতিষ্ঠান হিসেবে এখনও কংগ্রেস যথেষ্ট প্রশংসা যোগ্য। 

Why I killed Gandhi: ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানিয়ে চিঠি কংগ্রেসের, তৈরি হচ্ছে বিতর্ক

Punjab Election 2022: বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝতা চূড়ান্ত, নিরাপত্তার লক্ষ্যে জোট বললেন ক্যাপ্টেন

Punjab Election 2022: 'সিধুকে বাদ দেওয়ার পরই পাকিস্তানের বার্তা', হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন ক্যাপ্টেন