সংক্ষিপ্ত

ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও কংগ্রেসকে আক্রমণ করে চলেছে বিজেপি। শনিবারও সংসদে জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সংসদে সংবিধান নিয়ে বিতর্কে যোগ দিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কংগ্রেসকে তোপ দেগে বলেছেন, ‘সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর যখন ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছিল, সেই সময় সংবিধানকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সব সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সারা দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। নাগরিকদের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের উপর কঠোর দমন-পীড়ন নেমে এসেছিল। কংগ্রেস কখনও এই কলঙ্ক মুছে ফেলতে পারবে না।’

গান্ধী পরিবারকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

শনিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, সেই সময় বিরোধী দলগুলির সাংসদরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে নাম না করে গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানকে আক্রমণ করার জন্য কোনও চেষ্টারই কসুর করেনি কংগ্রেসের একটি পরিবার। কংগ্রেস এত রক্তপিপাসু ছিল যে সংবিধানের আত্মাকে রক্তাক্ত করে চলেছিল। ৬ দশকে ৭৫ বার সংবিধান বদল করা হয়।’

নেহরু-ইন্দিরাকে আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, ইন্দির গান্ধীকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘জওহরলাল নেহরু সংবিধান বদল করার যে বীজ বপন করেছিলেন, তা অনুসরণ করেন ইন্দিরা গান্ধী। রক্তের স্বাদ পাওয়ার পর সংবিধানের অপব্যবহার করে জরুরি অবস্থা জারি করেন ইন্দিরা গান্ধী। বিচারব্যবস্থাকে নিজের কবজায় আনার জন্য সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আদালতের ডানা ছাঁটেন ইন্দিরা গান্ধী।’

দেশের ঐক্যের উপর জোর প্রধানমন্ত্রীর

নিজের সরকারের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের ঐক্যই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমাদের সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে। আর্থিক ঐক্যের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে জিএসটি। গরিবদের ক্ষমতাশালী করে তুলেছে এক দেশ, এক রেশন কার্ড। আমরা এক দেশ, এক স্বাস্থ্য কার্ড চালু করেছি।’

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

জরুরি অবস্থার পাল্টা ২৫ জুন 'সংবিধান হত্যা দিবস', বিরোধীদর চাপে রাখতে বড় পদক্ষেপ অমিত শাহের

২৪ জন বিচারপতির বদলিতে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট, ইন্দিরা গান্ধীর আমলের জরুরি অবস্থার কথা উল্লেখ

দুপুরেই আসেন সিদ্ধার্থশঙ্কর, রাত তিনটেয় ঘুমান ইন্দিরা - কী কী ঘটেছিল জরুরি অবস্থা জারির দিন