সংক্ষিপ্ত
চলে গেলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডাও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছন। সেখানে মরদেহে প্রণাম করে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তারা। রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে গিয়ে শুক্রবার, সকাল থেকে ওই বাড়িতে একে একে আসতে থাকেন শাসক এবং বিরোধী দলের নেতৃত্বরা। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য হবে শনিবার।
এদিন সকালে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এছাড়াও একাধিক বিজেপি নেতা তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেছেন। গেছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীও। পরে পৌঁছন রাহুল গান্ধী।
কংগ্রেস সূত্রে জানা যাচ্ছে, মনমোহনের কনিষ্ঠা কন্যা ক্যালিফর্নিয়ায় ‘স্ট্যানফোর্ড ল’স্কুলের অধ্যাপক। সেখান থেকে তিনি শুক্রবার বিকেলে দেশে ফিরবেন। সেই কারণেই শেষকৃত্য হবে শনিবার। শেষকৃত্যের পর মনমোহনের অস্থি নিয়ে যাওয়া হবে কংগ্রেসের সদর দফতরে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে সাত দিন জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার, রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব জি পার্থসারথি দেশের সকল মুখ্যসচিব এবং অন্য উচ্চপদস্থ আমলাদের এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে যে, মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশে ‘জাতীয় শোক’চলবে। ‘জাতীয় শোক’ ঘোষণা হওয়ার অর্থ, এই সময় দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং সরকারি স্তরে কোনও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
উল্লেখ্য, ৯২ বছর বয়সী মনমোহনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল বৃহস্পতিবার। তাঁকে রাত ৮টা নাগাদ দিল্লী এইমসের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। গত ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত, ১০ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।