সংক্ষিপ্ত
উদ্বেগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই উদ্বেগ থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ৪৫ মিনিট ধরে কথা বললেন তিনি।
উদ্বেগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। আফগানিস্তান (Afghanistan) নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেন তিনি। সেই উদ্বেগ থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Russian President Vladimir Putin) সঙ্গে ৪৫ মিনিট ধরে কথা বললেন তিনি। আফগানিস্তানের বিষয়ে এই দুই দেশের ভূমিকা কী হতে চলেছে ও কোন রণকৌশল নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয় দুই দেশের রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে।
ব্রিকস সম্মেলনে যখন পাঁচ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা আফগানিস্তান পরিস্থিতি ও বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন, সেখানে ভারত ও রাশিয়ার এই আলোচনা নয়াদিল্লির অবস্থান অনেকটাই স্পষ্ট করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকরা জানান, দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক আফগান অস্থিরতা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হয়। তবে সেখানেই আলোচনা থেমে থাকেনি। দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ভবিষ্যত নিয়েও কথা হয় মোদী ও পুতিনের মধ্যে। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় কীভাবে দুই দেশ এক যোগে কাজ চালাতে পারে, সেই সমন্বয় সাধনের বিষয়েও আলোচনা চলে।
৪৫ মিনিটের আলোচনার পর একটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি লেখেন, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বন্ধু পুতিনের সঙ্গে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা চলে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
রাশিয়ার দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, উদ্বেগের বিশেষ ক্ষেত্রগুলির মধ্যে ছিল আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদী মতাদর্শের বিস্তারকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে নিয়ে আলোচনা চলেছে। ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা ভার্চুয়ালি আলোচনা চালান এই বিষয় নিয়েই। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরে ব্রিকস নেতৃবৃন্দের শীর্ষ বৈঠকের সভাপতিত্ব করবে ভারত।
এনএসএ অজিত ডোভাল এই ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করেন, যেখানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব জেনারেল নিকোলাই পাত্রুশেভ, চিনা পলিটব্যুরোর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় বিদেশ বিষয়ক কমিশনের পরিচালক ইয়াং জেইচি, ব্রাজিলের মিনিস্টার অফ স্টেট ও ইনস্টিটিউশনাল সিকিওরিটি ক্যাবিনেটের প্রধান জেনারেল অগাস্টো হেলেনো পেরেইরা, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উপমন্ত্রী নিসিডিসো গুডেনফ কোডওয়া উপস্থিত ছিলেন।