সংক্ষিপ্ত
- নরেন্দ্র মোদীর ক্যাবিনেটের সম্প্রসারণ
- পদত্যাগ হর্যবর্ধন-দেবশ্রী চৌধুরির
- মন্ত্রীত্ব খোয়ালেন বাবুল সুপ্রিয়
- আসতে পারেন অনেক নতুন মুখ
বুধবার সন্ধে ছটায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের ঘোষণা। কারা যাচ্ছেন, আর কারা থাকছেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। নতুন বেশ কয়েকটি মুখকে এবার দেখা যাবে মোদীর মন্ত্রিসভায়। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন হর্ষ বর্ধন। পদত্যাগ করেছেন দেবশ্রী চৌধুরি। সূত্রের খবর দেবশ্রীকে সংগঠনের কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।
এদিকে মন্ত্রীত্ব হারিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তার জায়গায় কে আসতে চলেছেন এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বেশ কিছু নতুন মুখের নাম উঠে আসছে। মন্ত্রী হতে চলেছেন শান্তনু ঠাকুর ও নিশীথ প্রামাণিক। সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ ৮১ জন সদস্য থাকতে পারেন। বর্তমানে মোদী মন্ত্রীসভার সদস্য সংখ্যা ৫৩ জন। তাই আরও ২৮ জনকে মন্ত্রী করা যেতে পারে। তবে, এক সূত্রের দাবি, সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় নতুন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন ১৭ থেকে ২২ জন। পরের বছর যেসব রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেইসব রাজ্যগুলির নেতাদের মন্ত্রিসভায় অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে। সেইসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদে আঞ্চলিক দলের নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করে এনডিএ-র সদস্য সংখ্যা বাড়ানোটাও নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের লক্ষ্য, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, রদবদলই শুধু নয়, আকারে বাড়তে পারে মোদীর মন্ত্রিসভার পরিসর। ফলে নতুন মন্ত্রীদের দিকে নজর থাকবে। বাংলা থেকে কারা পেতে পারেন মন্ত্রীত্ব তা নিয়ে আলোচনা চলছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাশা মতো ফল করতে পারেনি বিজেপি। আর তারপর দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদে রাখা হবে কি না তা নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী, তাঁকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সংগঠনে রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই।
এদিকে, দিন কয়েক ধরেই একাধিক বৈঠকে মিলিত হয়েছে শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। মন্ত্রীত্বের গন্ধ পেয়ে দিল্লি দরবারে হাজির হয়েছেন বহু রাজ্য নেতাও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো নেতারা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন উত্তরাখন্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতও।