সংক্ষিপ্ত
- পুলওয়ামার হামলা নিয়ে ১৫ পাতার রিপোর্ট তৈরি করেছে সিআরপিএফ
- সিআরপিএফ ও গোয়েন্দা বিভাগের বেশ কিছু ত্রুটির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে
- তদন্তে সামনে এসেছে অসম সাহসী এএসআই মোহন লালের কথাও
- ঘাতক গাড়িটিকে বিস্ফোরণের আগে গায়ের জোরেই আটকাতে গিয়েছিলেন তিনি
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা নিয়ে অন্তর্তদন্তের পর ১৫ পাতার একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে সিআরপিএফ। সেখানে এই হামলার পিছনে সিআরপিএফ ও গোয়েন্দা বিভাগের বেশ কিছু ত্রুটির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। কিন্তু এই তদন্ত করতে গিয়েই সামনে এসেছে এক অসম সাহসী পুলিশ অফিসারের দেশের জন্য শহিদ হওয়ার কাহিনীও।
সিআরপিএফ অফিসাররা জানিয়াছেন, ঘটনাস্থলে একটি সিআরপিএফ বাঙ্কার ছিল, যার মাথায় লাগানো ভিডিও ক্যামেরায় ঘটনার সময়ের ছবি উঠেছে। সেই ভিডিও ফুটেজেই ধরা পড়েছে 'রোড ওপেনিং পার্টি'র দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্টেন্ট সাব ইন্সপেক্টর মোহন লালের অসম সাহসিকতা।
আরও পড়ুন - পুলওয়ামার হামলা, অন্তর্তদন্তে একাধিক ব্যর্থতার অভিযোগ, মিলছে না কেন্দ্রের আগের দাবি
আরো পড়ুন - শহিদদের ঘর থেকে আসছে মাটি, পুলওয়ামায় তৈরি হচ্ছে অভিনব স্মৃতিসৌধ
আরো পড়ুন - পুলওয়ামার ঘটনায় সাড়া দিয়েছে গোটা দেশ, শহিদদের জন্য অর্থ সাহায্য বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ
আরো পড়ুন - পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ, বালাকোট হামলার পরেই তৈরি ছিল ভারত
সিআরপিএফ-এর সূত্র জানিয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদের আত্মঘাতি জঙ্গি আদিল আহমেদ দার আচমকাই আইইডি ভরা এসইউভি গাড়িটি নিয়ে ঢুকে পড়েছিল সেনা কনভয়ের রাস্তায়। এঁকে বেঁকে গিয়ে গাড়িটি ধাক্কা মেরেছিল কনভয়ের পাঁচ নম্বর বাসটিকে। আর তার আগের মুহূর্তে মোহন লাল গাড়িটিকে নিজের গায়ের জোর খাটিয়ে আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরণে উড়ে যায় তাঁর দেহ।
উত্তরকাশির বারকোট গ্রামে তাকতেন এএসআই মোহন লাল। তাঁর এই অসম সাহসিকতার জন্য তাঁকে মরণোত্তর গ্।গ্যালান্ট্রি পুরষ্কার দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে সিআরপিএফ-এর অন্তর্তদন্তের রিপোর্টে।