সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, শিখদের সঙ্গে কথা বলছেন মোদী। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীকে কৃপান উপহার দেন তাঁরা।
সামনেই পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচন (Punjab Assembly Election 2022)। ২০ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। আর তার আগেই দেশের শিখ সম্প্রদায়ের (Prominent Sikhs) বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। শুক্রবার তাঁর বাসভবনেই শিখদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (PMO Office) তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, শিখদের সঙ্গে কথা বলছেন মোদী। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীকে কৃপান (Kirpaan) উপহার দেন তাঁরা।
বিশিষ্ট শিখদের সেই তালিকায় রয়েছেন দিল্লির গুরুদ্বার কমিটির প্রেসিডেন্ট হরমীত সিং কালকা, পদ্মশ্রী বাবা বলবীর সিংজি সিচেওয়াল, যমুনা নগরের সেবাপন্থীর প্রেসিডেন্ট মহন্ত করমজিৎ সিং, বাবা যোগা সিং, অমৃতসরের সন্ত বাবা মেজর সিং ওয়া, মুখী ডেরা বাবা তারা সিং ওয়া, জাঠেদার বাবা সাহেব সিংজি, সুরিন্দর সিং নামধারী দরবার, শিরোমনি অকালি বুধা দলের বাবা জাসা সিং, হরভজন সিং, রণজিৎ সিংজি। আজ সকালেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত হন তাঁরা। এরপর তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। তবে পঞ্জাব ভোটের আগে শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বল মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন- দোরগোড়ায় পঞ্জাব নির্বাচন, শিখ ফর জাস্টিসের সমর্থন পেল আম আদমি প্রার্টি
পঞ্জাবে, বিজেপি অমরিন্দর সিংয়ের পঞ্জাব লোক কংগ্রেস দল এবং শিরোমনি অকালি দল (সংযুক্ত) এর সঙ্গে জোট করে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, অমরিন্দর সিং, নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে অন্তর্দ্বন্দ্বের পরে গত বছর কংগ্রেস দল ছেড়ে দিয়ে নিজের দল গঠন করেছেন। নির্বাচনের আগে পঞ্জাবের জন্য আক্রমণাত্মক প্রচারের ইঙ্গিত দিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে এবারের ভোট শাসক কংগ্রেসের সঙ্গে জোরদার টক্করে নেমেছে বিজেপি, আম-আদমি পার্টি, অকালি দলেরা। এদিকে এবারের ভোটে কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পদ্ম শিবির। আর আগে শিখ সম্প্রদায়ের বিশিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। পঞ্জাবের শিখ ভোট টানার জন্যই তিনি এই কৌশল নিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন, কুমার বিশ্বাসের বিতর্কিত মন্তব্য, নিষেধাজ্ঞা জারি নির্বাচন কমিশনের
এদিকে কয়েকদিন আগেই ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, 'স্বাধীনতার সময় নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী থাকলে কর্তারপুর সাহিব, নানকানা সাহিব ভারতের অন্তর্গত হত।' আসলে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই দুই তীর্থস্থান। কর্তারপুর সাহিবেই প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন গুরু নানক দেব। নানকানা সাহিবে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দেশভাগের পর এই দুই তীর্থস্থানই পাকিস্তানের অন্তর্গত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, যেহেতু আর কিছুদিনের মধ্যেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন৷ কংগ্রেসকে গদিচ্যুত করার লড়াইতে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সেই লড়াইয়ের আগে শিখ আবেগকে উস্কে দিতেই এই মন্তব্য করেছিলেন অমিত শাহ। আর এভাবেই শিখ ভোট টানতে বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে বিজেপি।