সংক্ষিপ্ত
গুরু রবিদাস ১৫-১৬ শতাব্দীতে মীরাবাইয়ের মতই কৃষ্ণের ভক্ত ছিলেন। তিনি কৃষ্ণের পাশাপাশি রামেও আরাধনা করতেন। ভক্তি আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। পঞ্জাব, হরিয়ানার পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্রে রবিবাদ একটি গুরু বা শিক্ষক হিসেবে এখনও পূজিত হন। বহু মানুষ আরও মেনে চলেন তাঁর আদর্শ নীতি।
রাজনৈতিক দলগুলির আবেদনের ভিত্তিতে পিছিয়ে গেল পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা ভোট হবে সীমান্তবর্তী এই রাজ্যে। সোমবার তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গুরু রবিদাসের (Guru Ravidas) জন্মজয়ন্তী উদযাপনের কারণেই পিছিয়ে দেওয়া হল পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন (Punjab Assembly Election 2022)। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাসের জন্ম জয়ন্তী। কিন্তু এই অনুষ্ঠান চলে এক মাস ধরে। রাজ্যের তফসিলি জাতি ও উপজাতির সদস্যরা এই সময় ভক্তি আন্দোলনের এই সন্তকে শ্রদ্ধা জানাতে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে যান। সেই কারণেই রাজ্যের প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলি ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সকাল থেকেই বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচন কমিশন।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি বরিদাস (Ravidas) জয়ন্তীকে সামনে রেখে নির্বাচন ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলও একই আর্জি জানিয়েছিলেন। কমিশনকে লেখা চিঠিতে চন্নি বলেছিলেন তফসিলি জাতির প্রতিনিধি পঞ্জাবের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩২ শতাংশ। তাঁরা গুরু রবিদাসের জন্ম দিবস পালেন করেন বিশেষ গুরুত্বসহকারে। তাঁরা ১০-১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেনাসরে যাবেন। সেই সময় ভোট হলে তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না। সেই কারণে ১৬ ফেব্রুয়ারির পরই ভোট গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
একই অনুরোধ জানিয়েছেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। তিনিও গুরু দাসের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
একই কথা বলেছেন পঞ্জাবে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ শর্মা। তিনিও গুরু রবিদাসের ভক্তদের কথা বিবেচনা করে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন এই সময় ভোট হলে প্রায় ৩২ শতাংশ তফসিলির জাতির মানুষ ভোট দিতে পারবেন না। ক্ষুন্ন হবে তাদের ভোট দানের অধিকার। আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে ভগবম মানও টুইট করে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
গুরু রবিদাস ১৫-১৬ শতাব্দীতে মীরাবাইয়ের মতই কৃষ্ণের ভক্ত ছিলেন। তিনি কৃষ্ণের পাশাপাশি রামেও আরাধনা করতেন। ভক্তি আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। পঞ্জাব, হরিয়ানার পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্রে রবিবাদ একটি গুরু বা শিক্ষক হিসেবে এখনও পূজিত হন। বহু মানুষ আরও মেনে চলেন তাঁর আদর্শ নীতি। তাঁর অনুগামীদের রবিদাসা বলা হয়। রবিদাসের জন্মদিন উপলক্ষ্যে গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি প্রাচীন এই কবিকে শ্রদ্ধাও জানিয়েছিলেন।
Shri Shanti Devi: প্রয়াত পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত শান্তি দেবী, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর
Uttarakhand Opinion Poll 2022: উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বিজেপি, জোর লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে