সংক্ষিপ্ত
এদিন ক্যাপ্টেন সিধুর পদত্যাগ নিয়েও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন সিধু কখনই একজন স্থিতিশীল মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। একই সঙ্গে অমরিন্দর বলছেন সীমান্তবর্তী রাজ্য পঞ্জাবের জন্য কখনই তিনি সঠিক ব্যক্তিত্ব নন।
পঞ্জাব কংগ্রেসের সংকট (punjab congress crisis) ক্রমশই বাড়ছে। মঙ্গলবার আচমকাই দল পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন নভজ্যোৎ সিং সিধু (Novjat Singh Sidhu Resigined)। সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেই তিনি পদত্যাগ করেন। কিন্তু এখনেই কংগ্রেসের (Congress) সংকট শেষ হয়নি। সিধুর প্রতি আনুগত্য জানিয়েছে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন কংগ্রেস নেত্রী রাজিয়া সুলতানা (Razia Sultana)। মাত্র দুই দিন আগেই চরণজিৎ চন্নির ক্যাবিনেট সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। মালেরকোটলার বিধায়ক রাজিয়া জানিয়েছেন সিধুর প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি পদত্যাগ করছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, তিনিও সিধুর মতই পঞ্জাবের স্বার্থে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করে যাবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। রাজিয়ার পদত্যাগের পর কিছুটা হলেও সংকটে চন্নির মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর মন্ত্রিসভার বৈঠকও বলেছে।
অন্যদিকে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অমরিন্দর সিং(Amatinder Singh) দিল্লি এসেছেন। নিজের বাড়িতে রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর তাঁর বিজেপি শীর্ষ নেতা অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করার কথা। অন্য একটি সূত্র বলছে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। যদিও অমরিন্দর জানিয়েছেন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি দিল্লি আসেননি।
Congress Crisis: ক্যাপ্টেনের দিল্লির সফর, তারমধ্যেই পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধানের দায়িত্ব ছাড়লেন সিধু
শারীরিকভাবে অক্ষমদের পাশে মোদী সরকার, বাড়ান হল পারিবারিক পেনশন
Communist in Congress: রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কানহাইয়া কুমারের দলবদল, মণীশ তিওয়ারির রহস্যময় টুইট
এদিন ক্যাপ্টেন সিধুর পদত্যাগ নিয়েও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন সিধু কখনই একজন স্থিতিশীল মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। একই সঙ্গে অমরিন্দর বলছেন সীমান্তবর্তী রাজ্য পঞ্জাবের জন্য কখনই তিনি সঠিক ব্যক্তিত্ব নন। আগেই ক্যাপ্টেন সিধুর পাক প্রধানমন্ত্রী ইরমান খানের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে তোপ দেগেছিলেন। এদিন গান্ধী পরিবারকেও এতহাত নেন ক্যাপ্টেন। তিনি বলেন কংগ্রেস নেতৃত্বকেও সিধু সম্পর্কে আগেই সচেতন করে ছিলেন তিনি।
এদিন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন অমরিন্দর সিং। তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর উত্তরসূরি তথা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির জন্য কাপুরথালার বাড়ি খালি করতে এসেছেন। সেখান থেকে তার প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে তিনি ফিরে যাবেন। তবে তাঁর সহযোহী রবীন ঠুকরাল জানিয়েছেন এই সফর তাঁর ব্যক্তিগত। কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর সঙ্গে দেখা করবেন না তিনি। তবে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে তিনি দেখা করবেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে অপ্রয়োজনীয় জল্পনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অমরিন্দর সিং। তার দুই দিন পরেই সিধু ঘনিষ্ট চন্নিকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। এই ঘটনার মাত্র ১০ দিনের মাথায় আবারও প্রকাশ্যে আসে পঞ্জবে কংগ্রেসে সংকট। এদিন আচমকাই পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেসর পদ থেকে ইস্তফা দেন সিধু। তারপর তাঁর বেশ কয়েকজন সঙ্গীও সেই পথ ধরে।